টিউমার ভেবে চিকিৎসা- পরে জানেন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী গর্ভবতী

 

আমোদ প্রতিনিধি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাজল কিনতে গিয়ে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক আলাউদ্দিনকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের আটগ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। পরিবার কিশোরীর পেটে টিউমার ভেবে চিকিৎসা করান। পরে জানতে পারেন ছয় মাস আগে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায় , গত বছরের ১৮ জুলাই জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের আটগ্রামে আলাউদ্দিনের বসত ঘরের নিচতলায় কসমেটিক্সের দোকানে চোখের কাজল কিনতে যায় ওই কিশোরী ও তার ছোট বোন। আলাউদ্দিন কিশোরীর ছোট বোনকে একটি চুলের ব্যান্ড হাতে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।ওই কিশোরীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর অন্তত ছয়মাস পার হলে ওই কিশোরীর শরীরের পরিবর্তন দেখা দেয়।

ওই কিশোরীর বাবা জানান, পেটে টিউমার হয়েছে ভেবে পল্লী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসাও করান। পরে অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় গত ১১ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক জানান, গত ২৪ সপ্তাহ আগে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়েছে।ওই কিশোরী তার বোনের কাছে ঘটনা খুলে বলে। ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।