দেবিদ্বারে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাড. রেহেনা


প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে নতুন ভাবে আলোচিত হচ্ছেন অ্যাডভোকেট রেহেনা পারভীন। দলের একমাত্র নারী মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি । গত ২৬ অক্টোবর গুলশান কার্যালয়ে ডাক পাবার পর তাকে নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে।
দেবিদ্বার পৌরসভার ফতেহাবাদ গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের খন্দকার বাড়ির সন্তান রেহেনা পাভীন পেশায় একজন আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এই অ্যাডভোকেট দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ – পরিবেশ সম্পাদক এবং কৃষক দলের সমাজকল্যাণ সম্পাদক। রাজনৈতিক মাঠে তার সরব উপস্থিতি, মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা এবং দলের দুর্দিনে কর্মীদের পাশে থাকা—সব মিলিয়ে তিনি দেবিদ্বারের রাজনীতিতে সাহসী ও ত্যাগী নেত্রী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
দলের কঠিন সময়ে রাজপথে তার সক্রিয় ভূমিকার উদাহরণও কম নয়। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির ঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’-তে অংশ নিতে গিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হামলার শিকার হন তিনি। ওইদিন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত রেহেনা পারভীনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করার দৃশ্য দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। দীর্ঘকাল দেশে বিদেশে চিকিৎসার পরও তিনি দমে যাননি।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সংহতি জানাতে মোমবাতি হাতে প্রতিবাদে অংশ নেন তিনি। ফেরার পথে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জেল, হামলা ও নির্যাতন—কিছুই তার রাজনৈতিক অঙ্গীকার ভাঙতে পারেনি।
দেবিদ্বার উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তিনি নিয়মিত গণসংযোগ করছেন। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, “রেহেনা পারভীন একজন শিক্ষিত, ত্যাগী ও সাহসী নেত্রী। দলের সংকটে তিনি সবসময় রাজপথে থেকেছেন, কর্মীদের পাশে ছিলেন।”
নিজের রাজনৈতিক দর্শন প্রসঙ্গে রেহেনা পারভীন বলেন,“গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে আমি রাজপথে আছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বই আমার প্রেরণা।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেবিদ্বার একটি ঐতিহ্যবাহী ও প্রতিযোগিতামূলক আসন। এখানে নারী নেতৃত্বের উত্থান নতুন বার্তা বয়ে আনতে পারে। যদি বিএনপি রেহেনা পারভীনের মতো ত্যাগী ও সংগঠিত নেত্রীকে মনোনয়ন দেয়, তবে তা দলের জন্য ইতিবাচক ও সাহসী সিদ্ধান্ত হবে।
তৃণমূলের ভাষায়—“তিনি শুধু দেবিদ্বারের একমাত্র নারী প্রার্থীই নন, রাজপথে লড়াই, নির্যাতন ও ত্যাগের প্রতীক।”
 
			