শান্তির নাসিরনগর গড়ার অঙ্গীকার একরামুজ্জামানের

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে শান্তির নাসিরনগর গড়ার অঙ্গীকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিস্কৃত উপদেষ্টা সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানের। নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এক দল আরেক দলের লোকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যারা ক্ষমতায় আছে তারা এসব মামলা করছে। এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা। এসব মামলা থেকে নাসিরনগরে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে চাই।’
রোববার (৩১ ডিসেম্বর)নাসিরনগর উপজেলা সদরস্থ নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১১ দফার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, দেশের অন্যতম শিল্পোদ্যোক্তা সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে আবার বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যারা ক্ষমতায় আছে তারা এসব মামলা করছে। এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা। প্রতিহংসামূলক মামলা থেকে নাসিরনগরের সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে চাই।’ পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধামকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক সময় বলি জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো। আসলে এটা আগুন জ্বালানোর জন্য না। তবে কেউ যদি প্যাসিফিক কাউকে উদ্দ্যেশ্য করে কিছু বলেন সেটা অন্য বিষয়।’
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান বলেন, আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে সারা বাংলাদেশের জন্য অনুকরণীয় নাসিরনগর প্রতিষ্ঠা করবো।’ তিনি নাসিরনগরে শিল্প কারখানা গড়ে ৫০ হাজার যুবক যুবতীকে চাকরির ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেন।
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা মো. নাজির মিয়া, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আদেশ চন্দ্র দেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ.টি.এম মনিরুজ্জামান সরকার, লণ্ডন শাখা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ এহসানুল হক, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মো. শাহীন মিয়া, চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।