শিক্ষার সৌরভ ছড়ানো সোনার বাংলা,টানা ১১বার শতভাগ পাস

অফিস রিপোর্টার।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বাজার। বাজারের পাশে গোবিন্দপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় সোনার বাংলা। গ্রামের আট দশটি প্রতিষ্ঠানের মতোই এর সাধারণ অবকাঠামো। তবে প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকেই প্রতিষ্ঠানটি বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করে। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এইচএসসিতে টানা ১১বার শতভাগ পাস করেছেন। এবার তাদের ৪২১জনের সবাই পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৯৬ জন।
সূত্র জানায়,২০০০সালে বুড়িচং উপজেলার গোবিন্দপুরে ১২০জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজটি যাত্রা শুরু করে। এখান থেকে এই পর্যন্ত পাশ করে বেরিয়েছে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী। কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী প্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডারে কর্মরত রয়েছে। নিয়ম শৃংখলার পাশাপাশি এখানে সহ-শিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তারা নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে।
কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মাহফুজ নান্টু বলেন,কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ স্যারসহ শিক্ষকদের গুণগত শিক্ষার প্রচেষ্টা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের খবর নিতে রাতে বাড়িতে যেতেন শিক্ষকরা। এখানে ধূমপান,রাজনীতি মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেল ব্যবহার নিষিদ্ধ। ভালো ছাত্রের পাশাপাশি এখানে ভালো মানুষ গড়ার চেষ্টা করা হয়।
অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ বলেন, শিক্ষক,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ পরিশ্রমের সোনালি ফসল এই সাফল্য। আমরা ভালো ছাত্রের পাশাপশি ভালো মানুষ গড়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, এই এলাকাটি শিক্ষায় পিছিয়ে ছিলো। তাই স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহায়তায় উদ্যোগ নেয়া হয়। ধান খেতে আমরা যাত্রা শুরু করি। শিক্ষকদের ভালো বেতন দেয়া যায়নি। আমরা যা বলেছি,তা করার চেষ্টা করেছি। নীতির বিষয়ে কোন আপোষ করিনি। এতে আমাদের প্রতি কেউ কেউ রাগ করলেও আমরা পিচ পা হইনি। বিশেষ করে এখানে নকলের কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ নিয়ম মানা হয়েছে। আমরা সেই মানটি ধরে রেখে এগিয়ে যেতে চাই।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরী বলেন,জেলার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সোনার বাংলা কলেজ। তারা গ্রামের মধ্যে আলোকিত মানুষ তৈরির কাজ করছে। এখানে ভালো ছাত্রের পাশাপাশি ভালো মানুষ গড়ার চেষ্টার বিষয়টি অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।