শিক্ষায় আমরা এখনো পিছিয়ে : সরাইলে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নান
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলাদেশ সাধারণ দেশ নয়। কম দেশই আছে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। গত ১২ বছরে বাংলাদেশের বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। আগে আমাদের উপোস করেও সময় কাটতো। এখন তিন বেলা ভাত খেতে পারি।তবে আমরা শিক্ষায় এখনো বেশ পিছিয়ে। আমাদের স্বাক্ষরতার হার ৭৫ ভাগ। এর মধ্যে ২০ ভাগ নাম লেখতে পারে। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। তাই শিক্ষা ব্যবস্থার উপর সর্বোচ্চ জোর দিতে হবে।
রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়াস্থ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গনে আয়োজিত আশুতোষ চক্রবর্তী স্মারক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান এসব কথা বলেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উৎসাহমূলক বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য তিনি স্বর্গীয় আশুতোষ চক্রবর্তীর পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাঁকে হত্যা করতে পারলে দেশ শোষকদের হাতে চলে যাবে। শেখ হাসিনার শক্তি যেনো সুসংহত থাকে, সেদিকে দৃষ্টি রাখা আমাদের প্রয়োজন।
ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, সংরক্ষিত আসন ৩১২ এর সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল, সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান, সরাইল থানার (ওসি) মো. আসলাম হোসেন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল হোসেন প্রমুখ।
বাচিকশিল্পী মো. মনির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী। পরে অতিথিরা জেলার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর প্রথম স্থানাধিকারী ৭৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষা বৃত্তি তুলে দেন। এবছর শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি মেডেল, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও গিফট বক্স দেওয়া হয়।