শিক্ষা উপকরণ পেয়ে খুশি ত্রিপুরা পল্লির শিশুরা
প্রতিনিধি।।
শিক্ষা উপকরণ পেয়ে খুশি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সালমানপুরের ত্রিপুরা পল্লির শিশুরা। তারা লালমাই পাহাড়ে অবস্থিত ত্রিপুরাদের মাতৃভাষা ককবরক শেখার জন্য স্থাপিত স্কুলের শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে এক কক্ষ বিশিষ্ট ককবরক মাতৃভাষা স্কুলটি স্থাপন করে সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ওই স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন কুমিল্লার বরুড়ার জোড়পুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পাপিয়া আচার্য ও তার পরিবার। শিক্ষা উপকরণ ছাড়াও বিদ্যালয়ের জন্য একটি সিলিং ফ্যান দেওয়া হয়।
স্কুল শিক্ষক পাপিয়া আচার্য জানান, কুমিল্লার একমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ত্রিপুরা। কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশের পাঁচটি গ্রামে শতাধিক ত্রিপুরা পরিবার বাস করে। এ তথ্যটি আমাদের কাছে অজানা ছিল। সম্প্রতি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হই। আরও অবাক হই মাতৃভাষা শেখার জন্য তাদের একটি স্কুল আছে জেনে। আমরা তাদের পাশে থাকতে চাই।
স্কুলের তত্ত্বাবধায়ক সজীব ত্রিপুরা জানান, আমাদের সন্তানরা ককবরক ভাষায় কথা বলতে পারতো, কিন্তু লিখতে পারতো না। কুমিল্লার সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও সদর দক্ষিণ উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ স্কুলটি উদ্বোধন করায় বর্তমান প্রজন্ম নতুন করে তাদের হারিয়ে যাওয়া ভাষা শিখতে পারছে। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যে পরিবারটি শিক্ষা উপকরণ নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের এমন কর্মকা- আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে।
ককবরক মাতৃভাষা স্কুলের শিক্ষক অপর্ণা ত্রিপুরা বলেন, আমাদের স্কুলে বেঞ্চ ও ভালো বোর্ড নেই। আমরা বাচ্চাদের কেমন শেখাচ্ছি তা বোঝার জন্য বাইরের শিক্ষক মাঝে মধ্যে মনিটরিং করলে ভালো হতো। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারেন।
সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম জানান, ককবরক ভাষা শেখার স্কুলের উন্নয়নের ব্যাপারে ত্রিপুরা পল্লির বাসিন্দাদের সাথে কথা বলব।