জলাবদ্ধতায় কুমিল্লা চান্দপুরের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

দুর্ভোগের ২৫বছর

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা শহরতলীর চান্দপুরে ২৫ বছর ধরে জলাবদ্ধতা লেগে আছে। এতে দুর্ভোগের রয়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। বর্ষাকালে সেই দুর্ভোগ আরো প্রকট হয়েছে। বাসা ও আঙিনায় পানি উঠে গেছে। ড্রেনের ময়লা পানি ও বৃষ্টির পানি মিলে সড়কে উঠে পড়েছে। ময়লা পানিতে চলাচল করতে গিয়ে অনেকে চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কোথাও পানি জমে থাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের আশংকাও রয়েছে।


মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,চাঁন্দপুর হালিমা টেলিকম, নাজির মসজিদ ও সোবহানী মসজিদ সংলগ্ন এলাকার সড়ক ও গলিতে পানি। পানি বাসা বাড়িতেও জমে আছে। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীকে ময়লা পানি মাড়িয়ে পথ চলতে হচ্ছে। যারা সামর্থ্যবান তারা জলাবদ্ধ এলাকা ছেড়ে উঁচু এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়েছেন।
চাঁন্দপুর এলাকার এন.কে রিপন,জামিলা বেগম,মনিরুল ইসলাম ও জহির আহমেদ মজুমদার বলেন,সারা বছরই এই এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকে। একটু বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়, সহজে সরতে চায় না। বর্ষাকালের দুই মাসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ নেমে আসে। আমরা এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।
পাঁচথুবী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য কাজী তানভীর আহমেদ রাহুল বলেন, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড মিলে এখানের ৭০ হাজার মানুষ জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে আছেন। এখানে অনেকে ড্রেন ছাড়া বাড়ি করেছেন। তাই পানি সরে না। প্রায়২৫বছর ধরে এই দুর্ভোগ চলছে। আমি অল্প কিছু দিন আগে দায়িত্ব নিয়েছি। নিজের টাকা দিয়ে তিনটি ড্রেন সংস্কার করেছি। দুইটি পাম্প ক্রয়ের পরিকল্পনা আছে। সেগুলো দিয়ে পানি অপসারণ করবো। এছাড়া সুইপার কলোনির দিকে ভালোভাবে খাল খনন করলে কিছু দুর্ভোগ কমবে।
পাঁচথুবী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাছান রফি রাজু বলেন, এই দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের। এবিষয়ে আমি অবগত রয়েছি। রাহুল মেম্বার সাহেব নিজের উদ্যোগে পাম্প ক্রয় করছেন। এমপি মহোদয় দেশে এলে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।