শ্বশুরালয়ে গিয়ে স্ত্রী-শাশুড়িকে অ্যাসিড নিক্ষেপ

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পিত্রালয়ে চলে আসেন এক সন্তানের জননী চন্দনা রাণী পাল। এক বছরের মাথায় আনন্দ পাল শ্বশুরালয়ে গিয়ে স্ত্রীকে জোর করে নিয়ে যেতে চায়। এতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষুব্দ হয়ে স্ত্রী-শাশুড়িকে করে অ্যাসিড নিক্ষেপ। স্বামীর নিক্ষিপ্ত অ্যাসিডে দগ্ধ হয়ে স্ত্রী-শাশুড়ি এখন হাসপাতালে। পুলিশ বলছে, খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের তন্তর এলাকার ভাটামাথা গ্রামে ঘটে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। অ্যাসিডে দ্বগ্ধ এক সন্তানের জননী চন্দনা রাণী পাল ও তার মা পুতুল রাণী পালকে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অ্যাসিডে দ্বগ্ধ গৃহবধূর স্বজনরা জানান, প্রায় দশ বছর আগে রাজধানী ঢাকার তাঁতি বাজার এলাকার নিতাই পালের পুত্র আনন্দ পালের সাথে আখাউড়ার তন্তর এলাকার ভাটামাথা গ্রামের কালিপদ পালের মেয়ে চন্দনা পালের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই জুয়াড়ি স্বামী আনন্দ পাল টাকার জন্য প্রায়শই স্ত্রী চন্দনাকে মারধর করতো। স্বামীর অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে গত এক বছর আগে চন্দনা পাল তার বাবার বাড়ি ভাটামাথা গ্রামে চলে আসেন। এক বছরের মাথায় শুক্রবার দুপুরে আনন্দ পাল শ্বশুর বাড়িতে এসে স্ত্রীকে জোরপূর্বক নিয়ে যেতে চায়। এতে চন্দনা পাল অস্বীকৃতি জানালে আনন্দ পাল ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আখাউড়া থানার পরিদশর্ক (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ‘এরকম কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে লোকমুখে জানার পর এবিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’