লেক ও সবুজে ঘেরা নতুন পার্কে খুশির আমেজ

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীতে স্বচ্ছ জলের লেক ও বিরল উদ্ভিদের নতুন পার্ক নির্মিত হচ্ছে। কুমিল্লা নগরীর ছোট এলাকায় পার্কটি নির্মিত হচ্ছে। এনিয়ে খুশি নগরবাসী।
কুমিল্লায় “জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতসহিষ্ণু জলধারার খনন ও সংরক্ষণ প্রকল্প” সম্পর্কে অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানানো হয়। রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় ও অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, স্থপতি আবুল কালাম মাহমুদ সরকার তানভীর,বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল, সুজন কুমিল্লা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান টিটু,টাউন হল সদস্য সচিব সাজ্জাদুল কবীর ও জামায়াত নেতা নাজির আহমেদ ভুইয়া প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী কুমিল্লা শহরে ৮০০ এর মতো পুকুর ছিলো, যা বর্তমানে ২০০ এর নিচে। অনুসন্ধানে দেখা যায় বিগত ২৩ বছরে শহরের অনেক পুকুর জলাধার ভরাট করে অবকাঠামো নির্মাণ করে এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। নগরীতে শহরের মধ্যে শ্বাস ফেলার জায়গাটুকু নেই। নগরবাসী বিশেষ করে শিশুদের জন্য পার্ক করাকে মাথায় রেখে পতিত ভূমিতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। ছোটরা এলাকায় বন্ধ হওয়া পুরাতন বোটানিকেল গার্ডেন, চিড়িয়াখানাসহ মোট ১৯ একর খাস জমি পতিত আছে। সেই বিবেচনায় পতিত ভূমিতে বিরল উদ্ভিদ, লেকসহ কিছু বিনোদনমূলক রাইড স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
প্রকল্পের মধ্যে পয়ঃনিস্কাশনের জন্য খালের ব্যবস্থা থাকবে। ঝিলের আদলে পদ্ম পুকুর থাকবে, যেখানে নানা ধরনের পদ্ম থাকবে। বিলুপ্ত প্রজাতির গাছ রোপন করা হবে। ১৪০ ফুট উঁচু ফেরিস হুইল থাকবে। লেকের মাঝে দুটো ঝুলন্ত ব্রিজ থাকবে। ফ্লাওয়ার জুন থাকবে। খেলার মাঠ থাকবে। ৩ কিলোমিটার হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে থাকবে। এছাড়াও ৪শত গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক জানান, প্রকল্পের ফান্ড নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের ১০ কোটি টাকা পরিবেশবান্ধব সহায়তা। সিটি করপোরেশন থেকে সাড়ে ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ ও জেলা পরিষদ থেকে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে ড্রেনসহ খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। ৬মাসের মধ্যে কাজ দৃশ্যমান হবে। পরে জেলা প্রশাসক সুধীজন, গণমাধ্যম কর্মী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে পার্কের ভেন্যু পরিদর্শন করেন।
সুধীজনরা বলেন,কুমিল্লায় সাশ্রয়ী বিনোদনের কোন পার্ক নেই। ডিসি পার্ক সেই প্রয়োজন মেটাবে বলে আশা করছেন। সেখানে তারা প্রতœ সম্পদে ভরপুর কুমিল্লাকে তুলে ধরার একটি কর্নার স্থাপনের আবেদন জানান।