৪০গ্রামের মানুষের ব্রিজের দুর্ভোগ ৫৪বছর

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার হোমনা ও তিতাস উপজেলা। মাঝে হাভাতিয়া নদী। এই নদীর পুরান বাতাকান্দি ও মহিষমারী এলাকায় ৫৪বছর ধরে নৌকায় পার হচ্ছেন হোমনা,তিতাসের সাথে পাশের মেঘনা উপজেলার ৪০গ্রামের মানুষ। এতে বাজার,স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালে যেতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। গত বছর এই স্থানের পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) কর্মকতারা। হয়েছে সয়েল টেস্টও হয়েছে। এরপরে আর কোন অগ্রগতি নেই। এলাকাবাসী এখানে দ্রæত ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,পুরান বাতাকন্দির গুদারা ঘাট থেকে উত্তর পাড়ে মহিষমারীর কালি গাছতলা ঘাট। এখানের শিক্ষার্থী,রোগী ও গ্রামবাসী সবার ভরসা খেয়া নৌকা। নদীতে স্রোত রয়েছে। নৌকা ঘাটে না গিয়ে দূরে চলে যায়। আবার পাড়ে ভেড়ানোর চেষ্টা। আবার কখন নৌকা ডুবে যায় সেই ভয়ও রয়েছে। শুকনো মৌসুমে নদীতে কচুরিপানা জমে। নৌকা আটকে যায়, চালানো যায় না। হোমনা উপজেলার মহিষমারী, মাথাভাঙা, জয়দেবপুর, মুন্সিকান্দি, মেঘনা উপজেলার পাড়ারবন্ধ, রাধানগর, মুগারচর, মোল্লাকান্দি, কাশিপুর, লক্ষণখোলা,
তিতাসের পুরান বাতাকান্দি, বৈদ্যারকান্দি, রামভদ্রা, ডাবুরভাঙ্গা, ওমরপুর, গোবিন্দপুর, দুর্বলভদী, নয়াকান্দি, তাতুয়াকান্দি, বারকাউনিয়া, চরকুমারিয়াসহ ৩০-৪০টি গ্রামের মানুষ এই ঘাট দিয়ে চলাচল করে। সহজতর চলাচলের জন্য পুরান বাতাকান্দি গুদারাঘাট থেকে মহিষমারী কালিগাছতলা পর্যন্ত হাভাতিয়া উপর ব্রিজটি নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
ঘাটে কথা হয় ওমরপুর গ্রামের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রুবাইয়া আক্তারের সাথে। রুবাইয়া বলেন,নদী পারাপারে আমাদের নৌকার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া ডুবে যাওয়া নিয়েও আশংকা থাকে। একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে যাতায়াত সহজ হবে।
মহিষমারী গ্রামের রিপন ভুঁইয়া বলেন, ব্রিজ না থাকায় এলাকাবাসী সাত মাইল-আট মাইল ঘুরে বাতাকান্দি বাজারে যেতে হয়। ব্রিজ হয়ে গেলে সেটা কমে দেড়মাইল হয়ে যাবে।
স্থানীয় গৃহিণী হালিমা বেগম বলেন, ব্রিজটি হলে সবার ভালো হতো। ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে সমস্যায় পড়ে।
স্থানীয় আবুল কাশেম ভুইয়া,তাইজ মিয়া ও আবু সায়েম সরকার বলেন,এই পথে ৩উপজেলার প্রায় ৪০গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করেন। এছাড়া বাতাকান্দি ও গাজীপুর স্কুল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে। তাদের যাতায়াতেও সমস্যা হচ্ছে। রাতে নৌকা চলে না, সে সময় রোগীদের হাসপাতালে নিতে সমস্যা হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. খোয়াজের রহমান বলেন, ১০০মিটার একটি ব্রিজের প্রকল্পের আওতায় এটির সয়েল টেস্ট হয়েছে বলে জেনেছি। আমি নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে কাজটি এগিয়ে নিতে চেষ্টা করবো।

inside post
আরো পড়ুন