সম্পত্তির বিরোধে ছোট ভাইদের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুন

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাড়ি সংলগ্ন একটি জায়গার মালিকানা নিয়ে জাকির হোসেনের সাথে বিরোধ ছিলো তারই ছোট দুই ভাইয়ের। এই বিরোধের জেরে  দুই সহোদরের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই জাকির হোসেনের ঘটলো জীবনপাত! ছুরিকাহত হন নিহতের ছেলেও। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা এলাকায় এই ঘটনার পরই বেপাত্তা হন আক্তার ও মোক্তার নামের দুই সহোদর।
রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের পর নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের সোনামুড়া গ্রামে ঘটে এই ঘটনা। নিহত জাকির হোসেন (৪৫) সোনামুড়া গ্রামের মরহুম আবদুস সামাদের ছেলে। অপরদিকে নিহতের ছেলে আল আমিন (২০) ছুরিকাহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোনামুড়া গ্রামের মরহুম আবদুস সামাদের পুত্র জাকির হোসেনের বাড়ির পাশে ৫৭ শতকের একটি জায়গার মালিকানা নিয়ে তারই ছোট ভাই আক্তার হোসেন ও মোক্তার হোসেনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সন্ধ্যায় এই বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে ঝগড়ার সূত্রপাত ঘটে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে জাকির হোসেনকে তার ছোট দুই ভাই আক্তার হোসেন ও মোক্তার হোসেন পেটে ছুরিকাঘাত করে। এসময় পিতাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসে পুত্র আল আমিনও ছুরিকাঘাতের শিকার হন। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পিতা-পুত্র দু’জনকেই গুরুতর আহত অবস্থায় বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাকির হবোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আহত আল আমিনকে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিজয়নগর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় এবং রোববার দুপুরে পিএম সম্পনন্ন করে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। এদিকে এই ঘটনার পরপরই নিহতের দুই সহোদর আক্তার হোসেন ও মোক্তার হোসেন এলাকা ছেড়ে বেপাত্তা হন। পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান।
বিজয়নগর থানার পু্লিশ পরিদর্শক (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনার পর ছোট দুই ভাই পালিয়ে গেছে। তাদেরকে আটক করতে অভিযান চলছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’