সরাইলে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বিদেশ যাওয়ার টাকা নিয়ে দ্বন্ধ। এই নিয়ে গ্রাম্য বিচার-সালিশও হয়েছে। কিন্তু শত্রুতা মিটেনি।  সরদারের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরাকালে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হলেন আবদুল কাদির। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে পাঠিয়েছেন মর্গে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা এলাকার।
বুধবার (৩০ জুন) রাতে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলাবাড়ি গ্রামে প্রতিপক্ষ রমজান মিয়ার লোকজনের অতর্কিত হামলায় নিহত আবদুল কাদির (৫০) শোলাবাড়ি গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের পুত্র। এই নিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের ইরাক যাওয়ার জন্য শোলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রমজান মিয়ার কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকা দেন আবদুল কাদির। ভিসা জটিলতার কারণে ইরাক যেতে পারলেও যাওয়ার পর ৯ দিন জেল খেটে পুনরায় দেশে ফিরে আসেন কাদির। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সালিস বৈঠকও হয়। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। বিষয়টি নিয়ে স্থায়ী সমাধানের প্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামের মলাই মিয়া সরদারের সঙ্গে দেখা করতে যান আবদুল কাদির। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাদিরের ওপর রমজানের লোকজন অতর্কিত হামলা চালালে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করাসহ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এদিকে আবদুল কাদিরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
সরাইল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিষয়টির তদন্ত করছেন। অভিযোগ সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’