স্ত্রীর গায়ে আগুণ দিয়ে ফজর নামাজ পড়তে যায় রেজাউল !

মোহাম্মদ শরীফ।

ভালবাসার টানে ইয়াসমিন প্রথম স্বামীকে ছেড়ে হাত ধরেন দ্বিতীয় স্বামীর। ইয়াসমিনের দ্বিতীয় স্বামী রেজাউল চাকরি করতেন চাঁদপুরে একটি এনজিও সংস্থায়। ক্ষুদ্র ঋণ আনার সুবাদে পরিচয় রেজাউলের সাথে ইয়াসমিনের। ক্ষুদ্র ঋণের জন্য প্রতিদিনের আসা-যাওয়ায় প্রেম হয়ে যায় দু’জনের। একটা সময় এই প্রেমের টানে প্রথম স্বামী আনোয়ার হোসেনকে তালাক দেন ইয়াসমিন। রেজাউলের হাত ধরে চলে যান কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ডেউয়াতলীতে। কিন্তু এই যাওয়া সুখ বয়ে আনেনি ইয়াসমিনের কঁপালে। রেজাউলের বাবা-মা তাদের বিয়েতে রাজী না থাকায় শুরু হয় অশান্তীর। তারপর থেকে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে প্রতিদিন চলে বাক-বিতণ্ডা।

 

১১মার্চ সন্ধ্যায় ইয়াসমিন-রেজাউলের কথাকাটি হলে একটা সময় ঘর থেকে বেড়িয়ে যান রেজাউল। ফিরে আসেন মধ্য রাতে। তখন আবার শুরু হয় দুজনের মধ্যে ঝগড়া। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ইয়াসমিনের গলা চেপে ধরে রেজাউল।

এতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ইয়াসমিন। রেজাউল ইয়াসমিনের গায়ে হাত দিয়ে দেখেন তার শরীর ঠান্ডা হয়ে আছে। নিজের এই হত্যাকান্ড ঢাকতে সারা রাত বসে ভাবতে থাকেন রেজাউল। ভোর রাতে ফজর নামাজের আযান হলে ইয়াসমিনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুণ জ্বালিয়ে মসজিদে চলে যান রেজাউল। নামাজ শেষে স্থানীয় মানুষের মুখে আগুণের কোনো শব্দ না পেয়ে চলে যান কবর জিয়ারতে। শেষে সেখান থেকে আগুণের চিৎকার শুণে বাড়িতে এসে করেন অজ্ঞানের ভাব। এতে ঘটনাটি স্থানীয় গণমাধ্যমে ঘরে আগুণ লেগে নববধূ নিহত হয়েছে বলে প্রচার পায়। ১২ মার্চ এই ঘটনায় বরুড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন ইয়াসমিনের ভাই রাকিব হোসেন। পরে ঘটনার তদন্তে নামে র‌্যাব-১১ । ২৮ মার্চ কুমিল্লার ইপিজেড এলাকা থেকে রেজাউল র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হলে মূল ঘটনাটি বেড়িয়ে আসে। মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ এর মেজর সাকিব বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন।