হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও অস্ত্র সরবরাহের কথা স্বীকার রিশাতের

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হিট স্কোয়াডে থাকা এমরান হোসেন রিশাত (২৩)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক ফারহানা আক্তারের কাছে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।
জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিমল দাস বলেন, রিশাত তিনদিনের রিমান্ডে থাকাকালে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিশাতের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জবানবন্দিতে রিশাত হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও অস্ত্র সরবরাহের কথা স্বীকার করেছেন। এর আগে গত সোমবার রাতে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় নিজ এলাকা থেকে নাজিম এবং হিট স্কোয়াডে থাকা অপর সদস্য মো.রিশাতকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে এজাহারবহির্ভূত এ দু’জনকে আদালতে প্রেরণ করে দশদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় অপর আসামি নাজিম।
উল্লেখ্য-গত ২২ নভেম্বর নগরীর পাথুরিয়াপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ মামলায় এজাহারনামীয় সাতজন ও সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। বন্দুকযুদ্ধে এজাহারনামীয় তিন আসামি মারা যান। পলাতক রয়েছেন ১১ নম্বর আসামি রনি।