১০৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৮৯টি ঝুঁকিপূর্ণ

 

মাহফুজ নান্টু॥
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা। তবে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন উত্তেজনা বাড়ছে। এমন উত্তেজনার কারণ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র। কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে মরিয়া প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭ ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৮৯টিকে ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রেখেছে জেলা পুলিশ।

সদর দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ডের ১৯ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৩২টি ভোট কেন্দ্রের সবক’টিকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রাখা হয়েছে।এছাড়াও বিভিন্ন ঘটনায় নগরীর ১৬, ১৭, ২৪,২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সবকটি কেন্দ্রকে অধিক ঝুকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডে গেলো বছর কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেল ও এক সঙ্গীকে দিনেদুপুরে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়াও নগরীর ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে গেলো কয়েক বছর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া নগরীর সাতটি কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং নয়টি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। কুমিল্লা জেলা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা কম ঝুঁকিপূর্ণ নয়, আমরা সকল কেন্দ্রকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করব। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সংখ্যক পুলিশ, এপিবিএন, আরআরএফ সদস্য ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। ভোটের দিনে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে ভোট কেন্দ্রসহ পুরো নগরী।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবির টহল টিম, রিজার্ভ ফোর্স ও ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাচনের সময় সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। সব মিলিয়ে ৬ হাজারেরও অধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে তাহলে বুলেট প্রুপ- আরমোরেড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ও জলকামান গাড়ির ব্যবহার করা হবে।
ভোটের দিন কুসিক এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে নগরীতে প্রবেশ পথে মোতায়েন থাকবে পুলিশের ৭৫টি চেক পোস্ট ও ১০টি পিকেট টিম। ইতোমধ্যে নগরীতে পুলিশের ২১টি টহল টিম ও ১৫টি স্থানে চেকপোস্ট রয়েছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিটি কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। ২৭টি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট ও ১২ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যেতে পারেন আমরা তার সব ব্যবস্থাই করবো।
রিটার্নিং অফিসার মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, আমরা সবগুলো কেন্দ্রকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। কোন কেন্দ্রকেই কম গুরুত্ব দেওয়া হবে না। নির্বাচন সুশৃঙ্খল এবং শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন সচেষ্ট আছে। আমরা চেষ্টা করছি, একটি নির্বিঘ্ন নির্বাচন উপহার দিতে।