১৩৮ বছর ধরে সাগরের মাঝে যে দুর্গ!

চারপাশে জলরাশি। আশেপাশে নেই কোনো দ্বীপ কিংবা উপকূল। এই বিশাল জলরাশির মাঝেই আছে গোলাকার এক দুর্গ। বর্তমানে রহস্যময় এই দুর্গটি ব্যবহৃত হচ্ছে বিলাবহুল এক হোটেল হিসেবে।

এর নাম স্পিটব্যাংক ফোর্ট৷ দক্ষিণ ইংল্যান্ডের উপকূল থেকে মাত্র এক সামুদ্রিক মাইল দূরত্বে৷ বিলাসবহুল সব হোটেলের মধ্যে এটিও অন্যতম।

 

অতীতে স্পিটব্যাংক ছিল একটি ফোর্ট বা দুর্গ। যার কাজ ছিল পোর্টসমথ বন্দরে ঢোকার মুখটি সুরক্ষিত করা৷ আজ সেই ফোর্ট পরিণত হয়েছে একটি বিলাসবহুল হোটেলে৷

তীর থেকে হোটেল পর্যন্ত আসাটাই একটা অ্যাডভেঞ্চার৷ তবে সাগরের স্রোত এখানে কম নয়, কাজেই বোটের ওঠা-নামায় সি-সিক হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে অনেকের৷

jagonews24

১৩৮ বছরের পুরনো ফোর্টটি দেখলে মনে হবে না যে, এটি একটি লাক্সারি হোটেল৷ এই দুর্গে পৌঁছনোর পর অতিথিদের খাড়া সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়৷ তারপর শুরু হয় শ্যাম্পেনের গ্লাস দিয়ে অতিথিদের অভ্যর্থনা৷

দিন কয়েকের ছুটি কাটানোর জন্য স্পিটব্যাংক ফোর্টের জুড়ি নেই৷ ব্রিটিশ কোটিপতি মাইক ক্লেয়ার ফোর্টটি কেনেন ২০০৯ সালে। মাত্র ১৩ লাখ ইউরো মূল্যে কেনা হয় এই দুর্গ।

 

পরে আরো ৪০ লাখ ইউরো ব্যয় করে ফোর্টের ডেকোরেশন পাল্টে দেওয়া হয়৷ এটি হলো সমুদ্রের দিকে মুখ করা কামানের ঘরগুলোর একটি৷ আগে এখানে সাড়ে বারো ইঞ্চি ব্যাসের একটা কামানের ঘর।

স্পিটব্যাংক ফোর্টে এরকম ৯টি সুইট আছে৷ সেখানকার প্রত্যেকটি সুইটের স্টাইল আলাদা৷ দিনে ছ’হাজার তিনশ’ ইউরো খরচ করতে পারলে গোটা স্পিটব্যাংক ফোর্টটাই বুক করা যায়৷

jagonews24

অতীতে পানির নীচের ঘরগুলোতে ২০০ সৈন্যের শোয়ার ব্যবস্থা ছিলো৷ এখানে দু’শ সৈন্যের খাবার তৈরি হতো৷ আজ সেখানে হোটেল গেস্টদের জন্য বার৷

আজ ফোর্টের ৯টি বিলাসবহুল সুইটে ১৮ জন অতিথি রাত কাটাতে পারেন৷ তাদের অধিকাংশ এক কিংবা দুই রাত্রির বেশি থাকেন না৷ তবে অতীতের সেই কঠিন বাস্তবের কথা ভেবে সব অতিথিদের রোমাঞ্চ হয় বৈকি৷