১৫ রমজানেই পা ফেলার জায়গা নেই মনোহরপুরে

ইলিয়াছ হোসাইন।।
পুরাদমে জমে উঠেছে কুমিল্লার ঈদ বাজার। রমনীদের সারেরা-গারেরা,আফগানি, আলিয়া, কাবলি,অরগেঞ্জা, পদ্মজা,পুরুষদের পাঞ্জাবি,শার্ট,প্যান্ট,লুঙ্গিসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি পোশাকের পরসা সাজিয়েছেন নগরীর বিপণী-বিতানগুলো। সরেজমিনে দেখা যায় নগরীর সাত্তারখান কমপ্লেক্স,খন্দকার হক টাওয়ার,আনন্দ শপিং সেন্টার,গোল্ডেন টাওয়ার,এসবি প্লাজা, প্ল্যানেট এস আর,সোনালী স্কয়ারসহ ব্রান্ডের বিপনী কেন্দ্র গুলোতে সকল বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। পা ফেলার জায়গা নেই। প্রবেশ করতেই দেখা মিলে দোকানিদের শাড়ি, থ্রি পিচ মেলে ক্রেতাদের দেখানোর দৃশ্য,ক্রেতারা নিজেদের পছন্দ মতো পোশাক বাছাই করে ক্রয় করছেন। জুতা দোকানগুলোতেও নেই দাঁড়াবার ফাঁকফোকর। ফুটপাত দখল করেছে কসমেটিকস,টুপি,সুগন্ধী,জুতা,ওয়ানপিচ, বাহারী রকম চশমার ঝুঁড়ি। সেখানেও দেখা মিলে ক্রেতাদের একই রকম দৃশ্য। দোকানিদের দাবি পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতার সংখ্যাই বেশি।
জুতা,কসমেটিকস কিনতে আসা তরুণী মালিহা,সারা জানান, শপিং করতে আজকেই আসলাম। এতো ভিড়,পা ফেলার জায়গা পাচ্ছিনা। বিরক্ত লাগছে না বরং আনন্দই পাচ্ছি। বান্ধবীরা মিলে এসেছি। বছরে দু’টো ঈদ। রমজানেই তো আমরা বিশেষ করে জামা-টামা বেশি কিনি। তাই বান্ধবীরা মিলে শপিং করছি ভালোই লাগছে। দু’টো জামা কিনেছি। জুতো নিয়েছি,এখন কসমেটিকস নেবো।
বজ্রপুরের বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন,দশ-বারো রমজানের পর থেকে ভিড় জমবে সে ভয়ে রমজানের শুরুতেই কেনাকাটা সেরে ফেলছি। বাচ্চাদের জন্য আফগানি জামা,জুতা নিলাম। স্বামী,বড় ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবি।ভাবি,মা,এবং আমার জন্য শাড়ি নিলাম। বোনের জন্য নিয়েছি লেহেঙ্গা। আজকে কিছু কসমেটিকস নিতে এসেছি।
হৃদয়,আকাশ,মৃদুল,সিয়াম,সাদমান নামের কয়েকজন তরুণ বলেন,ঘুরে ঘুরে দেখছি। ব্রান্ডের শো-রুম গুলোতে যাচ্ছি। তবে এখনো কিছু কিনি নাই। বন্ধুরা মিলে শপিংমল ঘুরার আনন্দ উপভোগ করছি। বিশ-বাইশ রমজানের দিকে পোশাক নেবো।
জুতা দোকানদার রফিকুল ইসলাম জানান, আশিহিরার তুলনায় এই বছর রমজানের শুরু থাইকাই ভালা বেচা-বিক্রি হইতাছে। কাস্টমার নিতাছে তাগো পছন্দ মতো জুতা। পাথরের কাজ করা নতুন নতুন জুতা আসছে। নারীরা বেশি কিনতাছে।

প্ল্যানেট এসআরের দ্বিতীয়তলার পিরানবাড়ি দোকানের স্বত্বাধিকারী শাহদাত হোসেন বলেন, মানুষ ক্রয় করছেন। নিজের জন্য প্রিয়জনদের জন্যে। দেখা যায় কেউ কেউ ক্রয়ক্ষমতার বাইরে গিয়েও প্রিয়জনদের জন্য পছন্দের পোশাকটি কিনে নিচ্ছেন। আমার দোকান নারীদের পোশাক দিয়ে সাজিয়েছি।