৩৫বছর আগে থেকে রাজেশপুরে কাজু বাদাম চাষ

 

মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
৩৫বছর আগে থেকে কুমিল্লায় চাষ হচ্ছে কাজু বাদাম। সঠিকভাবে পরিচর্যা হলে কাজু বাদাম বাগান থেকে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার রাজেশপুর ইকো পার্কের ভেতরে রয়েছে হাজারো গাছের কাজু বাদামের বাগান। বাগনের বাদাম গুলো প্রতিবছর টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হয়।


বাগানে গিয়ে দেখা যায়,শাল গাছের সাথে আঁকাবাঁকা কাজু বাদাম গাছের সারি। কোনটির বাদাম এখনও কাঁচা। কোনটি পেকে গেছে। ঠিকাদার তার ফল সংগ্রহ করছেন। পাকা রঙিন ফলের গা থেকে ভেসে আসে মিষ্টি ঘ্রাণ। ফলের উপরের অংশ থেকে বাদাম পাওয়া যায়,নিচের অংশ থেকে জুস,ভিনেগার ও মসলা তৈরি করা হয় বলে জানা যায়। স্থানীয় বন কর্মকর্তা বনকর্মীদের বাগানের নিরাপত্তার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন।


কুমিল্লা গাডের্নার্স সোসাইটির পরিচালক ডা. আবু মোহাম্মদ নাঈম বলেন, কাজু বাদাম হৃৎপিন্ডের শক্তি বৃদ্ধি করে। হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্যে করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ ও হজমে সাহায্যে করে। এছাড়া ডায়বেটিস রোগীর জন্য উপকারী ও অবসাদ দূর করে। রাজেশপুর ইকোপার্কের কাজু বাদামের বাগানটি সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হলে এর থেকে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়।
রাজেশপুর ইকো পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, এখানে সীমানা প্রাচীর নেই। অনেকে কাজু বাদামের গুরুত্ব বুুঝে না। না বুঝে নষ্ট করে ফেলেন। বনকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাগানটি ৩৫বছর ধরে ফল দিয়ে যাচ্ছে। বনকর্মীরা প্রণোদনা ফেলে বাগানটিতে ফলের পরিমাণ বাড়বে। এর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় আরো বাড়বে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন,আমরা দুই বছর ধরে সদর,সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কাজু বাদামের চাষ করেছি। কম্বোডিয়া,ভারত ও ভিযেতনামের বীজ লাগিয়েছি। এতে ভালো ফল আসবে। তা রপ্তানিও করা যাবে। আমাদের কিছু গাছে ফুল এসেছে। আশা করছি এক দুই বছরের মধ্যে ভালো ফল পাবো।