৫বছরে এমপি বাহারের সম্পদ বেড়েছে তিনগুণ

 বেড়েছে ২৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের ৫বছরে সম্পদ বেড়েছে তিনগুণ। ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ করা হয় ১২ কোটি ৩১ লাখ ৩২ হাজার ৪৩১ টাকা। ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজারে। এ পাঁচ বছরে তার সম্পত্তি বেড়েছে ২৪ কোটি ৬৬ লাখ৮৭হাজার ৫৬৯ টাকার।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া বাহারের হলফনামা থেকে জানা গেছে, এই প্রার্থীর বাৎসরিক আয় আট কোটি ৩৯ লাখ ১৮ হাজার ৩২৫ টাকা। তার মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ভাতা পান ২৩ লাখ ১১ হাজার ৩২৫ টাকা। বাসা ভাড়া থেকে ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও এমপি বাহারের অন্যান্য লিমিটেড কোম্পানি হতে আয় ৩০ লাখ টাকা। অপরদিকে এমপি বাহারের নিজ নামে নগদ টাকা আছে ছয় লাখ ৭ হাজার ৯০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকা আছে দুই কোটি ৪৮ লাখ ৭২ হাজার ৯১০ টাকা। নাইস পাওয়ার অ্যান্ড আইটি লিমিটেডে আছে ১৫ লাখ টাকা, সোনালী সুইটস লিমিটেডে আছে দুই কোটি ২৭ লাখ টাকা, নাসুয়া এসোসিয়েট লিমিটেডে আছে ১২ লাখ ৫০ হাজার, মাইন্ড মোভার লিমিটেডে আছে ৫০ লাখ, এ সিক্স লিমিটেডে আছে ৭ লাখ ৫০ হাজার, এমবি টেক্সটাইল এন্ড ফ্যাক্টরি লিমিটেডে আছে ১০ লাখ, গোমতী ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডে আছে ১০ লাখ। এছাড়াও ৮৮ লাখ ও ৯০ লাখ টাকার আছে দুইটি জিপ গাড়ি। তার স্বর্ণসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিস আছে ৬০ হাজার টাকার। ইলেকট্রিক সামগ্রী আছে আড়াই লাখ টাকার। আসবাবপত্র আছে আড়াই লাখ টাকার। দুই লাখ টাকার আছে রিভলবার ও শট গান।
সাবেক তিনবারের এই সংসদ সদস্যের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে উত্তরা প্লট ও কুমিল্লা হাউজিং স্টেট এলাকায় আছে ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সম্পত্তি। কুমিল্লা কান্দিরপাড়ে আছে ৩৫ লাখ টাকার টাউনহল সুপার মার্কেট। মুন্সেফ বাড়িতে আছে বিশ লাখ টাকার বাণিজ্যিক দালান। এছাড়াও ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার বাড়ি আছে কুমিল্লার মুন্সেফবাড়ি এলাকায়। ঠিকাদারী মালামাল ও ব্যবসায়িক মূলধন আছে ১৮ কোটি ১০ লাখ ৬৫ হাজার টাকার।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় উল্লেখ ছিলো-কৃষি খাত ও সংসদ সদস্যের সম্মানী ভাতা ২৩লাখ ৪৩হাজার ৮০০,বাড়ি ভাড়া ১২লাখ ৮০ হাজার,ব্যবসায় আয়  ২কোটি ৯৫লাখ ২হাজার ৮৫০,অন্যান্য কোম্পানি থেকে আয় ১০লাখ, নগদ টাকা ৯লাখ ২হাজার ৬৪৪,ব্যাংকে জমা  ৫কোটি ৬৬লাখ ২৮হাজার ১৩৭, নাইস পাওয়ার এন্ড আইটি সলিউশন লিমিটেডে ১৫ লাখ, সোনালী সুইটস লিমিটেডে ২৭ লাখ, নাসুয়া এসোসিয়েট লিমিটেডে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এফডিআর ছিল ৩৫ লাখ টাকা। জিপ ৮৮লাখ,স্বর্ণ ৬০হাজার,ইলেকট্রনিক সামগ্রী দেড় লাখ,আসবাবপত্র দেড় লাখ, অস্ত্র ২লাখ। উত্তরার প্লট ৩৫লাখ,মুন্সেফবাড়ির দালান ৩৮লাখ ৮০হাজার,বাড়ি,অ্যাপার্টমেন্ট ৩০লাখ ৮৫হাজার,ঠিকাদারী মালামাল ২০লাখ। কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকার টাউন হল সুপার মার্কেটের দাম ৬০ লাখ টাকা
উল্লেখ্য-নগরীর মনোহরপুর এলাকায় যৌথ মালিকানায় রয়েছে ১৯ কোটি ৭৫লক্ষ ৫০হাজার টাকার মার্কেট। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের অগ্রিম ভাড়া হিসেবে জমা আছে ১৫ লাখ চল্লিশ হাজার টাকা। এছাড়া স্ত্রী ও মেয়েদের নামে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে।