ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেপাত্তা : ডাকযোগে তালাকনামা

inside post
অফিস রিপোর্টার।
ইতালি প্রবাসী রুহুল আমিন। পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয় সায়মা আক্তারের সাথে। এক পুত্র সন্তান নিয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই চলছিলো তাদের সংসার। কিন্তু সেই সুখের সংসার ফেলে স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করে সন্তান, স্বামীর অর্থকড়ি, স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সায়মা আক্তার হন বেপাত্তা। শুধু কি তাই-ই? ডাকযোগে শ্বশুরালয়ে পাঠালেন তালাকনামা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা এলাকার।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের খাড়েরা গ্রামের আবু আব্দুল্লাহ ভূইয়ার পুত্র ইতালি প্রবাসী রুহুল আমিন ভূইয়ার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের উওর পৈরতলা মহল্লার মাসুদ মিয়ার মেয়ে সায়মা আক্তারের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে রুহুল ও সায়মা এক ছেলে সন্তানের জনক-জননী। বিয়ের আগ থেকেই ইতালি থাকতেন রুহুল আমিন। বছরে একবার দেশে আসতেন ছুটিতে। বিয়ের পরও নিয়মিত দেশে আসা-যাওয়া ছিল তার।
গত ১৬ জুন সায়মা শ্বশুরবাড়িতে যাবেন বলে পিত্রালয় থেকে বের হলেও যাননি শ্বশুরালয়ে। এ ঘটনায় সায়মার পরিবার ও শ্বশুরালয়ের লোকজন সন্ধান চেয়ে কসবা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পৃথক দু’টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। কিন্তু সায়মার কোনো হদিস মিলেনি। উপরন্তু সাত দিনের মাথায় গত ২২ জুন রুহুল আমিনের বাড়িতে ডাকযোগে তালাকনামা পাঠান সায়মা। পাশাপাশি নিজের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করবেন বলেও রুহুল আমিনকে ফোন করে জানান সায়মা।
রুহুল আমিন ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে সায়মার আচরণ সন্দেহজনক ছিলো। আমি ফোন করলে সে ভালোভাবে কথা বলত না। ছেলেকে দেখতে চাইলে দেখতে দিত না। সে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়েছে। আমার বাড়িতে তালাকনামা পাঠিয়ে অন্য ছেলেকে বিয়ে করবে বলে জানিয়েছে। আমার ছেলে এখন সায়মার কাছে আছে। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবির জনান, ‘সায়মা নিজ থেকেই বাড়ি ছেড়েছেন। তার সন্ধান চেয়ে পরিবারের করা জিডির আলোকে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আরো পড়ুন