সাবেক এমপি আজাদ ও ছোট ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

 

আল-আমিন কিবরিয়া।।

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া আবদুল রাজ্জাক রুবেলকে(৩৪) হত্যার অভিযোগে দেবিদ্বারের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ও তার ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদসহ ৭০ জনের নামোল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত রুবেল পৌরসভার বারেরা এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত রুবেলের চাচাতো ভাই আবুল কাসেম।
অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক মো. কামাল হোসেন অভিযোগটি  এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে দেবিদ্বার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. আরিফুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে দেবিদ্বার নিউ মার্কেট ও আশপাশের এলাকায় ছাত্র জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ গুলি চালানোর নির্দেশে দিয়ে নিজেরাও বিক্ষোভ মিছিলে গুলি চালান।
এ সময় অন্যান্য আসামিরা ঘটনাস্থলে বোমা, ককটেল নিক্ষেপসহ ছাত্র জনতার উপর হামলা চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে রুবেল মারা যান। এ হামলায় আরো অর্ধশতাধিক ছাত্রজনতা আহত হয়।  হামলার অভিযোগে মামলায় আরও কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আসাদুজ্জামান রনি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল কাইয়ুম, শাহীনুর লিপি, হাজী জসিম, মোকবল হোসেন মুকুল, হাজী জালাল, শাহজাহান, পৌর কাউন্সিলর বাহির মোল্লাসহ ৭০ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রুবেলের চাচাতো ভাই আবুল কাসেম বলেন, রুবেলের সংসারটি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেল। যারা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার দাবি করছি।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, এ বিষয়ে আদালতের আদেশ থানায় আসেনি। আদেশহাতে পেলে নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।