বৈরীতা ভুলে এম.পি মোকতাদিরের জন্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ আলেমদের দোয়া

inside post
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
১৫ই আগষ্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া, পাচঁ হাজার কোরআন খতম আদায়ের পর এবার বৈরীতা ভুলে সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও তার স্ত্রী, মাউশি’র সাবেক ডিজি প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের জন্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ আলেমরা দোয়ার আয়োজন করেন। একই সাথে করোনা এবং জটিল রোগাক্রান্ত সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যেও দোয়া করা হয়। মঙ্গলবার জেলার বড় মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ায় এই দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 
উল্লেখ্য, বিগত ২৬-২৮ মার্চ হেফাজত ইসলামের তাণ্ডবের পর জেলার শীর্ষ আলেমরা এই দোয়া আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত করছেন। মোকতাদির চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে জেলার কওমী মাদ্রাসাগুলোয় জাতীয় দিবস পালন না করার অভিযোগ করে আসছিলেন। মাদ্রাসাগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার দাবীও জানিয়ে আসছেন তিনি। সাম্প্রতিক হেফাজত তাণ্ডবের পর মোকতাদির চৌধুরী নিজে বাদী হয়ে জেলার দুই শীর্ষ আলেম জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার শায়খুল হাদিস মাওলানা সাজিদুর রহমান ও প্রিন্সিপাল মুফতী মোবারক উল্লাহসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এবং পরে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয় একশ’ থেকে দেড়শ’ জনকে। ১ মে থানায় দেয়া এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত না হওয়ায় গত ২২ জুন সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে এস.কে.এম তোফায়েল হাসানের আদালতে এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু ওইদিন বিকেলে মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত। মামলার এজাহারে সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করে সহিংসতা চালানোর অভিযোগ আনা হয় আসামীদের বিরুদ্ধে। এমনি বৈরী সম্পর্কের মধ্যে চিকিৎসার জন্যে দুবাইয়ে থাকা মোকতাদির চৌধুরী এম.পি ও তাঁর স্ত্রী মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের জন্যে দোয়ার আয়োজন করেন শীর্ষ আলেমরা। মঙ্গলবারের ওই দোয়া পরিচালনা করেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মোহতামিম (প্রিন্সিপাল) মুফতী মুবারকুল্লাহ।
দোয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা সাজিদুর রহমান, শিক্ষা সচিব মুফতী শামসুল হক, জামিয়ার পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিউদ্দিন খান মাসুম, সদস্য সৈয়দ আনোয়ার আহমেদ লিটন, জিল্লুর রহমান, মুফতি মোশাররফ হোসাইন, মুফতি এনামুল হাসান, মাওলানা আনোয়ার বিন মুসলিম, মাওলানা আবদুল আজিজ, মাষ্টার গোলাম মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মুহম্মদ খান বিটু, সাংবাদিকদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাদেকুর রহমান ও আ.ফ.ম কাউসার এমরান, সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মো. সহিদুল ইসলাম ও সৈয়দ মো. আকরাম, প্রেস ক্লাব কার্য নির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম শাহজাদা, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, পাঠাগার সম্পাদক এইচ.এম. সিরাজ, সংস্কৃতি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন একাত্তর টিভির জালাল উদ্দিন রুমি, প্রথম আলোর শাহাদাত হোসেন, ডেইলী ষ্টারের মাসুক হ্নদয়, এনটিভি’র শিহাব উদ্দিন বিপু, যমুনা টিভির শফিকুল ইসলাম, এটিএন বাংলার ইসহাক সুমন, মাছরাঙ্গা টিভির আশেক মান্নান হিমেল, এস এ টিভির মনিরুজ্জামান পলাশ, আরটিভি’র আজিজুর রহমান পায়েল, জাগো নিউজের আবুল হাসনাত রাফি, বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোরের মেহেদী নূর পরশ প্রমুখ।
আরো পড়ুন