ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখনও ৪০ জন কুষ্ঠ রোগী চিকিৎসাধীন
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
অভিশপ্ত কুষ্ঠ রোগ হাজার হাজার বছর ধরেই বিদ্যমান। এটি নির্মূল হয়ে যায়নি। তবে বর্তমানে চিকিৎসার মাধ্যমে জটিল এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চিকিৎসার মাধ্যমে তিন শতাধিক রোগী সুস্থ হয়েছে এবং বর্তমানে ৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে জেলার সবক’টি উপজেলায় চিকিৎসা সেবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।কুষ্ঠ রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে দি ল্যাপ্রোসী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের উদ্যোগে ও প্রয়াস এক্সেলারেটিং ল্যাপ্রোসী সার্ভিস প্রজেক্ট’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় কুষ্ঠরোগের লক্ষণ এবং প্রতিকারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রজেক্টের টেকনিক্যাল সার্ভিস অফিসার ডেভিড প্রবীর হালদার।
মতবিনিময় সভায় ডেভিড প্রবীর হালদার জানান, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার দেশ থেকে কুষ্ঠরোগ নির্মূলে বদ্ধপরিকর। কুষ্ঠরোগ এখন আর অভিশাপ নয়। এক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি লোকালয়ে বসবাস করতে পারতো না। তাদেরকে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে আইসোলেশনে রাখা হতো। তবে বর্তমানে চিকিৎসার মাধ্যমে জটিল এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চিকিৎসার মাধ্যমে তিন শতাধিক রোগী সুস্থ হয়েছে এবং বর্তমানে ৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে জেলার সদর উপজেলায় নয়জন, কসবা উপজেলায় সাতজন, বিজয়নগর উপজেলায় ছয়জন, নাসিরনগর উপজেলায় ১১জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় পাঁচজন এবং সরাইল উপজেলায় দুইজন। অভিশপ্ত এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে জেলার সবক’টি উপজেলায় কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসা সেবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা প্রমুখ।