কুমিল্লার মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা দূরে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ
অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার সড়ক-মহাসড়কে বিগত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কম দুর্ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরে মোট ৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। গত বছর ৯৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৫৬ জন। অবৈধ হাট-বাজার, বেপারোয়া গতি, পাল্লা দিয়ে যানবাহন চালানো, আইন ভেঙে ইউটার্ন করা, নির্দেশনা না মেনে যানবাহন পরিচালনা, ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার না করাসহ নানা অসতর্কতার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, দেশের লাইফ লাইনখ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রয়েছে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা। সড়ক-মহাসড়কের এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে তৎপরতা চালাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ।
চলতি বছরে কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ ছাব্বিশ হাজার যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা এবং ১০ হাজার নিষিদ্ধ থ্রি-হুইলার আটক করে ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা রোধে ১৮২টি কমিউনিটি পুলিশিং টিমের মাধ্যমে কাজ করছে ২ হাজার ৭৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক। ইতোমধ্যে টিম হাইওয়ে কুমিল্লার উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও বাস স্টপেজে মহাসড়কের মাঝখানে ফেন্সিং বসানো হয়েছে। মহাসড়ক সংলগ্ন ২৮২টি ফিডার রোডের মাথায় সচেতনমূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করেই এসব সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়। পরিবহণ খাতের চালক হেলপারদের নিয়ে ৩৬টি কর্মশালা পরিচালনা করে এক হাজার ৮০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও পথচারী ও অন্যান্যদের নিয়ে ৫৬৭টি সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। সচেতনতার লক্ষ্যে যাত্রী ও পরিবহন চালক-হেলপারদের মাঝে ২ লক্ষ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে ।
কুমিল্লা মোটর এসোসিয়েশনের সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন, হাইওয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ মহাসড়কে শৃংখলা আনতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের সাথে সবাইকে আন্তরিক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, কঠোর আইন প্রয়োগ ছাড়াও মানবিকতা এবং আধুনিকতা দিয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আমরা সেই নির্দেশনা দিয়ে থাকি। জনসাধারণ ও যানবাহন চালকরা সচেতন হলে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।