অনিরাপদ হয়ে উঠছে কুমিল্লা বিসিক

 

 

inside post

কুমিল্লা নগরীর ঠাকুরপাড়ায় অবস্থিত কুমিল্লা বিসিক(বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন)। সম্প্রতি এখানে চুরি ছিনতাই বেড়ে গেছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। বিসিক জেলা পুলিশ সুপার ও শিল্প পুলিশের নিকট এনিয়ে চিঠি দিয়ে সহযোগিতা চায়। এদিকে বিসিক কার্যালয়েরও মালামাল চুরি হয়েছে। এনিয়ে ২২ অক্টোবর কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বিসিক এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। এনিয়ে গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা বিসিকে ১৩৩টি প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। এগুলোর অধিকাংশ খাদ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এখানে কর্মরত আছেন ১০হাজারের বেশি শ্রমিক। তার মধ্যে নারী শ্রমিক ৩৫০০জন। নারী শ্রমিকরা পথ চলতে বিসিক সংলগ্ন এলাকায় ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। ২১অক্টোবর রাতে বিসিকের পুরাতন অফিসের ছাদ থেকে দুই হাজার লিটারের পানির ড্রাম চুরি হয়। এছাড়া জানালার গ্রিল কেটে নেয়া হয়। ১৬ অক্টোবর স্কাইল্যাব ফার্মাসিটিক্যালসের পুরাতন ভবনের মালামাল চুরির সময় দুই চোরকে আটক করা হয়। তাদেরকে একই মালিকানাধীন এবিএস ক্যাবলের প্রধান ফটকের ভেতরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। এসময় দা-ছেনিসহ অস্ত্র হাতে ১০/১২ জনের একটি দল এসে ফ্যাক্টরির লোকজনের উপর হামলা চালায়। তারা সিকিউরিটি গার্ড আবু বকরকে কুপিয়ে আহত করে করে দুই চোরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এছাড়া বিসিকের পশ্চিম পাশে এস আলম মিলের নিকটের জলা বলে খ্যাত এলাকায় রাত নামলে শ্রমিক কর্মকর্তারা ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। এখানে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের আখড়া বসে। সন্ধ্যায় ওই এলাকায় আতংক নেমে আসে।
ব্যবসায়ীরা চুরি ছিনতাই নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিছমিল্লাহ মুড়ি মিলের পরিচালক ইরফান মাহমুদ বলেন,এখানে চুরি ছিনতাইয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা ভালো নেই। পুলিশ ফাঁড়ি হলে মালিক-শ্রমিক নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারতো।
বিসিক কুমিল্লার ডিজিএম এসএম আলমগীর কাদেরী বলেন, ব্যবসায়ীদের থেকে চুরির কিছু অভিযোগ পেয়েছি। সেই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার ও শিল্প পুলিশ সুপারের নিকট চিঠি দিয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। এছাড়া আমাদের কিছুৃ মালামাল চুরি হয়েছে,সেজন্যও থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
শিল্প পুলিশ কুমিল্লার পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি। এছাড়া বিসিকে জেলা পুলিশের সাথে আমরা আরো তৎপরতা বাড়াবো।
আমরা মনে করি,উৎপাদনের প্রবাহ বজায় রাখতে নিরাপদ পরিবেশের বিকল্প নেই। কুমিল্লা বিসিকে চুরি- ছিনতাই ও মাদকসেবীদের উৎপাত থামাতে জেলা পুলিশকে উদ্যোমী ভূমিকা নিতে হবে।

আরো পড়ুন