শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে কুবি শিক্ষকদের হট্টগোল

 প্রতিনিধি।।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে হট্টগোল করেছেন শিক্ষক নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২১শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এরপর শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতি ফুল দেয়। এরপর কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িকে ফুল দেয়ার অনুরোধ জানান উপস্থাপক। এতেই হট্টগোল বাধান শিক্ষক সমিতির নেতারা। হট্টগোলের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

inside post


ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেজের একপাশে উপাচার্য ও প্রক্টর বসে আছেন। পাশে ছিলেন অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. মিজানুর রহমান। একপর্যায়ে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতারা চারপাশে ঘিরে ধরে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তারা জানতে চান, হলের ছাত্ররা আগে ফুল না দিয়ে কেন পুলিশকে সুযোগ দেওয়া হলো? এ ঘটনায় উত্তেজিত শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর আবু তাহের অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ককে ক্ষমা চাইতে বলেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানকেও আঙ্গুল নাড়িয়ে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে দেখা যায়। উত্তেজিত দেখা যায় সমিতির সহসভাপতি কাজী মো. কামাল উদ্দিনকেও।
: নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর আবু তাহের বলেন, পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বড় বড় কর্মকর্তা আছেন, হলের ছাত্ররা আছেন। আমাদের শিক্ষক-ছাত্ররা বিষয়টি জানালে আমি নিজেও সামান্য উত্তেজিত হই।
অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. মিজানুর রহমান বলেন, তারা সবসময় ডিউটিতে থাকেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করেন, তাই তাদেরকে এক ফাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথায়ও এমন কিছু লেখা নেই যে পুলিশ আগে ফুল দিতে পারবে না। তারা ফুল দিয়ে ডিউটিতে চলে যেতেন। তাদের সাথে এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি।

আরো পড়ুন