নাঙ্গলকোটে গরুর হাট নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ

 প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউপির কাদবা(নিমুনি) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষেও অন্তত: ১০জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, কাদবা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মোহাম্মদ মিয়া (৩৫), মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে মোবারক, গান্দাচী গ্রামের পলাশ, বাঙ্গড্ডা গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সবুজসহ অন্যান্যরা। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে মোহাম্মদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এনিয়ে শনিবারও ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, সম্প্রতি লালমাই উপজেলার যুক্তিখোলা বাজারের গরুর হাট নিয়ে পাশের নাঙ্গলকোট উপজেলা ও লালমাই উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার পর ওই গরুর বাজারটি বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসন। বাজারটি বন্ধ হওয়ার পর কাদবা গ্রামের হুমায়ুন কবির বজলু তার মৎস্য খামারে মাটি দিয়ে ভরাট করে সেখানে সরকারি অনুমতি ছাড়া অস্থায়ী ভাবে পশুর হাট বসান। এদিকে উপজেলা প্রশাসন অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহবান করলে বাঙ্গড্ডা গ্রামের সবুজ দরপত্র ক্রয় করেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে সবুজকে বাজারটি ইজারা দেওয়া হয়। ইজারা পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে লোকজন নিয়ে পশুর হাটে বাঁশ গাড়তে গেলে বজলু বাধা দেন। ঘটনা মীমাংসার জন্য শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান পশুর হাটে গিয়ে চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মজুমদারকে নিয়ে বসেন। এক পর্যায়ে সহকারী কমিশনারের সামনে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন,দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে এখনো কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, কাদবা গ্রামের হুমায়ুন কবির বজু সরকারি অনুমতি ছাড়া ওই খানে পশুর হাট বসান। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে অস্থায়ী পশুর হাটের দরপত্র আহবান করলে সবুজ দরপত্রের মাধ্যমে পশুর হাটের ইজারা পান। শুক্রবার দুই পক্ষের সংঘর্ষ হওয়ায় আপাতত বাজারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।