ব্যানারে তারেক মুন্সীর ছবি দেখে বিএনপি নেতাকে মারধর
অভিযোগ সাবেক এমপি মঞ্জু মুন্সীর ছেলে রেজবী মুন্সীর বিরুদ্ধে
প্রতিনিধি |
ব্যানারে প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা তারেক মুন্সীর ছবি দেখে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর ছেলে ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সি ওরফে রেজবী মুন্সী ও তার অনুসারীরা এক ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের একটি ভিডিও শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাসতে দেখা গেছে।
মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির নাম ফয়েজ আহমেদ৷ তিনি রাজামেহার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি ওই ইউনিয়নের চুলাশ গ্রামের মৃত জুনাব আলীর ছেলে। রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি চুলাশ বাজারে হার্ডওয়ার ব্যবসা করেন।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রেজভী মুন্সী দলবল নিয়ে চুলাশ বাজারের একটি মার্কেটের সামনে বিএনপির ওই নেতা ফয়েজের সাথে কথা বলছেন। কথা বলার সময় রেজভী উত্তেজিত ছিলেন। এক পর্যায়ে রিজভী ফয়েজকে কয়েকবার ধাক্কা দেন। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে রিজভী ফয়েজকে পিঠে ধাক্কা দিয়ে তুলে দেন তার অনুসারীদের হাতে। তখন তার অনুসারীরা ফয়েজকে মারধর করে।
ফয়েজ বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজামেহার বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুর রউফ খাঁন আমাকে কল করে চুলাশ বাজারে আসার জন্য। আমি চুলাশ বাজারে যাই। সেখানে যাওয়ার পর রিজভী মুন্সি আমাকে প্রশ্ন করেন? ব্যানারে মঞ্জু মুন্সীর সাথে তারেক মুন্সীর ছবি কে দিয়েছে। আমি বলেছি, আমি জানিনা। তার পরপরই রিজভী মুন্সী বলে ব্যানারটা খুলে ফেলার জন্য, আমি বলেছি! আমি লাগাইনি, আমি কি ভাবে খুলবো। এ কথা বলার পর রিজভী মুন্সি বলে তুই সব নষ্টের মূল। একথা বলেই তিনি আমাকে প্রথমে কয়েকবার ধাক্কা দেন। পরে আমার পিঠে ধাক্কা দিয়ে তার অনুসারীদের দিকে ঠেলে দেয়। তখন ওরা আমাকে মারধর করে।
রাজামেহার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী বাবুল বলেন, চুলাশ বাজারে বিএনপি’র একটি ব্যানার টাঙানো ছিল। এ ব্যানারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের ছবির নিচে ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জরুল আহসান মুন্সী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সীর ছবি ছিল। এটা দেখেই রিজভী মুন্সি ক্ষিপ্ত হন। এ থেকে ঘটনার সুত্রপাত।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সি বলেন, এটা রিজভীর চিরচেনা চরিত্র। ফয়েজ বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তাকে এভাবে মারধর করা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার রেজবীউল আহসান মুন্সি বলেন, রাজামেহারে আজ আমার প্রোগ্রাম ছিল। সেখানে যাওয়ার পথে আমার গাড়ি বহরে হামলা করে ফয়েজ আহমেদসহ কিছু আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ফয়েজ আহমেদসহ ওই লোকগুলি বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আমরা কাউকে মারধর করিনি।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, রিজভীউল আহসান মুন্সীর গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ এনে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে।