গোমতী চরের সবজির অপেক্ষায় ক্রেতারা

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
সারা দেশের মতো সবজি বাজারের উত্তাপে দিশাহারা কুমিল্লার ক্রেতারা। সেই ক্রেতারা অপেক্ষায় রয়েছেন কুমিল্লা গোমতী চরের সবজির। তাদের মন্তব্য-কুমিল্লা নগরী ও পাশের উপজেলার সবজির উল্লেখযোগ্য চাহিদা মেটায় গোমতী চরের সবজি। এখানের সবজি বাজারে আসলে দাম কিছুটা কমবে। কৃষি বিভাগের দাবি এক সপ্তাহের মধ্যে চরের কিছু সবজি বাজারে আসবে।


চরের কৃষক,কৃষি বিভাগ ও ক্রেতাদের সূত্র জানায়,স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় নষ্ট হয়ে যায় কুমিল্লা আদর্শ সদর,বুড়িচং,ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোমতীর চরের ১৫শ হেক্টর জমির সবজি। পানি নামলে কৃষকরা সবজির বীজ ও চারা লাগাতে শুরু করেন। এরপরে কয়েক দফা ভারী বৃষ্টিতে সেই চারাও নষ্ট হয়ে যায়। কৃষক আশায় বুক বেঁধে আবার মাঠে নেমে পড়েছেন। মুলা,লালশাক জাতীয় সবজি এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে নেয়ার উপযোগী হয়ে যাবে। এদিকে বরবটি এক মাসের মধ্যে,ফুলকপিসহ অন্যান্য সবজি দেড় মাসে বাজারে আসবে।
আদর্শ সদর উপজেলার গোমতীচরের সামারচর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,সকালের রোদে সবজির জমিতে কাজ করছেন কৃষক কৃষানিরা। সেখানে কথা হয়,শালধরের মনু মিয়া,আবদুস সালাম ও সামারচরের আবদুল ওয়াদুদের সাথে। তারা বলেন,বন্যায় বরবটিসহ তাদের বিভিন্ন সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। কারো এক লাখ কারো দুই টাকার ক্ষতি হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার পর আবার বীজ বুনেছেন। বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায়। এখন পুনরায় লাগিয়েছেন। সার ও বীজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলে তারা উপকৃত হবেন বলেও জানান।
শিক্ষা ও কৃষি বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেরনেটি বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার উদ্যোক্তা মোবারক হোসেন বলেন,গোমতীর চরের সবজিতে কুমিল্লা নগরীসহ আশপাশের উপজেলার ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য চাহিদা মিটে। এখানের কৃষকরা বন্যা ও বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তাদের বীজ, সার ও নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করা প্রয়োজন। এছাড়া চরের সবজির জমি রক্ষায় নদীর ভিতরে বাড়ি নির্মাণ,খেলার মাঠ স্থাপন ও মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন,গোমতীর চরের তাজা সবজির বিশেষ চাহিদা রয়েছে। বন্যা বৃষ্টিতে সবজি পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। চরের উদ্যোমী কৃষকরা আবার ফসল বুনেছেন। মুলা,শাক লাল শাক জাতীয় সবজি এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এদিকে ক্ষুদ্র কৃষকদের কৃষি বিভাগ প্রণোদনা দিবে বলেও তিনি জানান।

(ছবি: ইলিয়াছ হোসাইন)