বাড়ছে নগরীর সড়কের খানাখন্দ

অফিস রিপোর্টার।
কুমিল্লা নগরীর অধিকাংশ সড়কে খানাখন্দ। সংস্কার বিলম্বিত হওয়ায় সড়কের গর্ত গুলো বড় হচ্ছে। এতে যানবাহন উল্টে পড়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা। বেহাল এসব সড়কে চলাচলে দুর্ভোগে পড়ছেন চালক যাত্রীরা। সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নগরীর আদালত সড়ক, নজরুল এভিনিউ এলাকার ক্যাত্যয়নী কালি মন্দিরের পাশের সড়ক, ট্রমা হাসপাতালের পূর্ব পাশের সড়ক, চর্থা থেকে হোটেল সালাউদ্দিন সড়ক,চকবাজার থেকে ২য় মুরাদপুর সড়ক,মৌলভীপাড়া সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক ভেঙে আছে। সড়কের পিচ ঢালাই উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও পাকা সড়কের পিচ উঠে তা মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। ভাঙা সড়কে চলাচলে নগরীর মিশুক, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল আরোহীরা পড়ছেন বিপাকে।


রিকশা চালক জামাল হোসেন বলেন,মুরাদপুর,কাশারিপট্টি, আদালত সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আমাদেও প্রায় দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। রিকশা গর্তে পড়ে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে যায়। যাত্রীরাও ভাঙা সড়কে রিকশায় না উঠে পায়ে হেঁটে চলেন।
সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সদস্য মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আখন্দ বলেন,দীর্ঘদিন নগরীর সড়ক গুলো সংস্কার হচ্ছে না। নগরীর সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনিয়ম করা হয়েছে। এতে ড্রেন ও সড়ক দ্রুত ভেঙ্গে পড়ে। অনিয়মের বিষয়ে নজরদারী বাড়াতে হবে।
২য় মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, তিনি শারিরীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ। হুইল চেয়ারে চলাচল করেন। ভাঙা সড়কে হুইল চেয়ার চালানো কঠিন হয়ে যায়। নগরীর অধিকাংশ সড়ক ভাঙা হওয়ায় তার অনেক পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। তিনি সড়ক গুলো দ্রুত মেরামতে দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লা সিটি করেপারেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়ের ভুইয়া বলেন,আমরা সড়ক সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভাঙ্গা সড়ক গুলোর সংস্কার কাজ চলতি সপ্তাহে শুরু করা হবে।