বাহার মার্কেট ভেঙে ফেলারও প্রস্তাব
প্রতিবেদক।।
জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার বলেছেন, কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন। সারা দেশ ব্যাপী এর সুনাম রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এ প্রতিষ্ঠানটির সুনাম কুমিল্লাবাসী ধরে রাখতে পারে নি। দীর্ঘদিন দিন পর মনে হয়েছে গুণীজনসহ কুমিল্লার সকল স্তরের মানুষের উপস্থিতিতে টাউন হল প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এর সুনাম রক্ষার্থে উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে রয়েছে টাউন হলের বর্তমান কমিটি বাতিল করা হলো। এ প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ব্যবস্থাপনা এ মুহূর্তে জরুরি। এরই আলোকে ১টি এডহক কমিটি ও ২টি উপকমিটি গঠন করা হলো। এ কমিটির নামগুলো রেজুলেশনের মাধ্যমে জানানো হবে। সকল চূড়ান্ত সিদ্ধান্তসমূহ নব গঠিত এ ৩টি কমিটির সুপারিশে গৃহীত হবে। বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন আয়োজিত অতিরিক্ত সাধারণ সভা – ইজিএম-এ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার আরও বলেন, টাউন হলের সম্পত্তির বিষয়ে জেনেছি, টাউন হলের জায়গায় যে মার্কেট রয়েছে তা ১৯৮২ সালে ২১৭৫ নং ইজারা দলিল মূলে আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার টাউন হল কর্তৃপক্ষের সাথে ১০ বছরের চুক্তি করেছিলেন। ২০০২ সালে এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। এরপর নতুন ভাবে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কোনো দলিলের হদিস পাওয়া যায় নি। এমন পরিস্থিতিতে এ মার্কেটের ভারা বাবত টাকা আজকের পর থেকে টাউন হলের একাউন্টে জমা হবে।
টাউন হলের বর্তমান কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার্যকর পরিষদ কার্যত কার্যকর নেই। এ পরিস্থিতিতে কার্যকর কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। সভায় উপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টাউন হলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এটি সর্বোচ্চ ফোরাম। এ ফোরামের মতামত অনুযায়ী মার্কেট, থিউসোফিকেল সোসাইটি ও মিনিস্ট্রিয়েল ক্লাব সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। জেলা পরিষদ থেকে টাউন হল ৩কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। এ টাকায় সংস্কার কাজ শুরু হবে। এ কাজে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সভায় বাৎসরিক সদস্য চাঁদা ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। টাউন হলের গঠনতন্ত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ গঠনতন্ত্র সংশোধনের দাবি রাখে।
সভায় টাউন হলের সদস্য ও সুধীজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট গোলাম ফারুক, এডভোকেট আলী আক্কাস, ড. শাহ মোঃ সেলিম, আবুল কাশেম হৃদয়, মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কবীর মোহন, সাংবাদিক মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ আমীরুজ্জামান আমীর,মোশাররফ হোসেন, রেজাউর রহমান রেজা, আতাউর রহমান ছুটি,সাজ্জাদুল কবীর সাজ্জাদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বাহার মার্কেট নির্মাণের ব্যাপারে টাউন হল কার্যকরী পরিষদের যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাহার মার্কেট ভেঙে ফেলারও প্রস্তাব করেন বক্তাদের কেউ কেউ।