‘আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী নারীরা কম নির্যাতনের শিকার হন’

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সভায় জেলা প্রশাসক

প্রতিবেদক।।
জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার বলেছেন, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী নারীরা কম নির্যাতনের শিকার হন। কাজেই নারী নির্যাতন কমাতে নারীদের প্রথমত সুশিক্ষিত, দ্বিতীয়ত আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে। নারীদের নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে হবে। নারী উন্নয়নে কুমিল্লার মহীয়সী নারী নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। যিনি ছিলেন আত্মমর্যাদায় বলীয়ান দানশীল মহিলা। মানুষের কল্যাণে তিনি স্কুল, হাসপাতাল স্থাপন করেছেন। কুমিল্লার দুই সাহসী কিশোরী শান্তি -সুনীতি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন কালে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্টিভেন্সকে গুলি করে হত্যা করেছে। নারীদের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। পরিবারে কন্যা কিংবা পুত্র সন্তান উভয়কে সমান চোখে দেখতে হবে। নারী নির্যাতন মামলা করে পুরুষদের হেনস্তা করার মনোভাব পরিহার করা প্রয়োজন। প্রতিটি নারী মানবিক গুণাবলী নিয়ে বেড়ে উঠবে, সমাজসেবায় নিজেদের যোগ্যতা বলে অবদান রাখবে। আগামীতে আমরা নারী দিবস পালন করতে চাই না। আমরা অধিকার বঞ্চিত নারী চাই না। আমরা চাই, নারী- পুরুষ বৈষম্যহীন সুন্দর সমাজ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা মতিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মোহাম্মদ বশির আহমেদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) নিশাত তাবাসসুম।
‘ অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন,নারী ও কন্যার উন্নয়ন ‘ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ পরিচালক জেসমিন আরা বেগম। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মোতাহার হোসেন মাহবুব, নারী উদ্যোক্তা প্রলয় শিখা নারী কল্যাণ সংস্থার সভানেত্রী মাকসুদা বেগম, নবশিফট যুব মহিলা কল্যাণ সংস্থার সভানেত্রী লাভলী আক্তার, সাগর দিঘি মহিলা সংস্থার সভানেত্রী জ্যোৎস্না আক্তার, আলো যুব মহিলা কল্যাণ সংস্থার সভানেত্রী শিপু আক্তার ও পথিকৃত নারী উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী ফরিদা আক্তার। বক্তারা বলেন, বর্তমানে নারীরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে এবং দেশ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।বৈষম্যের শিকার যাতে না হতে হয় সেজন্য নারীদের গুছিয়ে ও শালীনতা বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে।আমাদের সন্তানেরা যাতে নারীদের সম্মান বা মর্যাদাপূর্ণ আচরণে অভ্যস্ত হয়, এ ব্যাপারে স্ব স্ব পরিবার থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন ও গীতা থেকে মর্মবাণী পাঠ করা হয়।