নবীনগরে কৃষক পর্যায়ে ‘পার্টনার কংগ্রেস’

গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পার্টনার প্রকল্পের আওতায় কৃষক পর্যায়ে (১৯ জুন) বৃহস্পতিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিনব্যাপী এক ‘পার্টনার কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা কৃষি কার্যালয় মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজীব চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টনার প্রকল্প, কুমিল্রা অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার সারোয়ার জামান।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন।
উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার পরিমল চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় এতে সমবায় সমিতির সেশন পরিচালনা করেন, উপজেলা সমবায় অফিসার মো. ইব্রাহিম খলিল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম উপজেলা জামাতের সেক্রেটারি খোরশেদুল ইসলাম খোকন, হেফাজতে ইসলামীর সভাপতি মাওলানা আমীরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা জসীম উদ্দিন, নবীনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. হোসেন শান্তি প্রমুখ।
এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
এ পার্টনার কংগ্রেস সভায় উপজেলার ৭০ জন কৃষক, ৩০ জন, এনজিও কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
দিনব্যাপী এ সভায় ১০ টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের উপর স্বচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন,’ বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় নবীনগর উপজেলায় উত্তম কৃষি চর্চার আওতায় আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পার্টনার ফিল্ড স্কুল পরিচালনা করা হচ্ছে।
মূলত আজকের এই সভায় অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান, দক্ষতা বিষয়ক দীর্ঘ এক মতবিনিময় করা হয়। এতে গোটা উপজেলা থেকে পার্টনার ফিল্ড স্কুলের কৃষক, উপজেলার উদ্যোক্তা কৃষক, এনজিও প্রতিনিধি, গণ্যমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ মোট ১০০ জন অংশগ্রহণ করেন।

তিনি আরও জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় নবীনগর উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে আবাদি জমি বৃদ্ধি করা, ‘ফার্মার স্মার্ট কার্ড’ এর মাধ্যমে কৃষি পরিষেবা সম্প্রসারণ করা, পরীক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করা, এগ্রি-ফুড উদ্যোগগুলোর মান উন্নয়ন ও সংখ্যা বৃদ্ধি করা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও কৃষি সম্প্রসারণ ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি করা, নির্দিষ্ট কৃষিপণ্যের ভ্যালু চেইন শনাক্ত ও কার্যকর করা এবং কৃষি তথ্য, বাজার বিশ্লেষণ ও মান উন্নয়নসহ কৃষির উন্নয়নে মোট দশ ধরণের কার্যক্রম বাস্তবায়ণ করা হবে।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে রোপা আমন, নারিকেল, তাল, লেবু, মরিচ ও বিভিন্ন সবজি ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ, চারা ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়।