নগরীতে সড়ক দখল উচ্ছেদে বাধা কোথায়?

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন সড়ক দখল হয়ে গেছে। দোকানের সামনে মালামাল,দোকানের সামনে সড়কে উপ-দোকান ও ভ্রাম্যমান দোকান স্থাপন করা হয়েছে। এতে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে,ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগে পড়ছেন লাখো নগরবাসী। কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়,নজরুল এভিনিউ, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ, ছাতিপট্টি, চকবাজার, মোগলটুলী,ফৌজদারী,রানীর বাজার,রেইসকোর্স,লাকসাম রোড,টমছমব্রিজ এলাকায় এই দৃশ্য বেশি দেখা যায়। সড়ক ও ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নজরে পড়ছে না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,কান্দিরপাড় টাউনহলের সামনের ফুটপাতে বসেছে কাপড় বিক্রেতারা। নিচে সড়কে শরবত,পপকর্ন বিক্রেতা। এরপরে সড়কে যেখানে সেখানে রয়েছে অটো রিকশার স্ট্যান্ড। গাড়ি ও পথচারীর জন্য সড়ক নেই বললেই চলে। টমছমব্রিজ সংলগ্ন কোটবাড়ি সড়কের মুখে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড। এরপর রামমালা পশু গবেষণা কেন্দ্র পর্যন্ত ড্রেনের উপর অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে স্থায়ী দোকান। ৩০ ফুট সড়কের ১০ ফুট স্থায়ী দোকান, ১০ ফুট অস্থায়ী দোকান। বাকি ১০ ফুটে লেগে থাকে যানজট। কান্দিরপাড় মোড়ে দোকানের সামনে ফলের দোকান বসানোর কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। নজরুল এভিনিউয়ের প্রবেশপথে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে দোকান বসানো হয়েছে।
নগরবাসীর সূত্র জানায়, ৬মাসে অথবা বছরে সিটি করপোরেশন নামমাত্র অভিযান চালালেও পরের দিন অবৈধ দোকানিরা পুনরায় বসে যান। এজন্য আইনের প্রয়োগ করতে হবে। নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট দিয়ে জেল জরিমানা করে সড়ক মুক্ত রাখতে হবে।
সিটি করেপারেশনের সূত্র জানায়,কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ১৪বছরেও জনবল কাঠামো অনুমোদন হয়নি। বর্তমানে যে জনবল আছে তা দেশের ৩য় শ্রেণীর পৌরসভা থেকেও কম। মৃত্যু,অবসর ও বদলিতে তা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৬৭জনে।
কুমিল্লা ভাষা সৈনিক অজিতগুহ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন,১৪বছরেও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের জনবল কাঠামো অনুমোদন হয়নি। যা দু:খজনক। দ্রুত জনবল ও ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে সিটি করপোরেশন তার সক্ষমতা প্রমাণ করবে বলে আশা করছি।
কুমিল্লা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির মাসউদ বলেন,সড়ক ও ফুটপাত দখলে কুমিল্লা নগরীতে যানজট ও দুর্ঘটনায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এসব দখল মুক্ত করা হোক।
কুমিল্লা কৃষি ও কারিগরি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আখন্দ বলেন,কুমিল্লা কান্দিরপাড় ও টমছমব্রিজ কোটবাড়ি সড়কে যত্রতত্র দোকান বসেছে। সিটি করেপারেশন ক্রাশ প্রোগাম হাতে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এগুলোকে এখনি সরাতে হবে। নতুবা নগরী দিন দিন অচল হয়ে পড়বে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, তিনি নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন। কোথায় কি সমস্যা আছে তা সরেজমিন গিয়ে দেখছেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন জনবল সংকট আছে। জনবল কাঠামো অনুমোদন হলে আরো ভালো নাগরিক সেবা দেয়া যাবে। আশা করছেন দ্রুত জনবল কাঠামো অনুমোদন হবে।
তিনি আরো বলেন, সমস্যা অনেক,সমাধান করা কঠিন,তবে তা অসম্ভব নয়। সবার সহযোগিতা পেলে এ সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে। দ্রুত কাজ করতে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্র্রেট প্রয়োজন। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়েও আমরা কাজ করছি।

inside post
আরো পড়ুন