নলকূপের হাতল চাপা ছাড়াই ১৭বছর উঠছে পানি

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী ভবেরমুড়া গ্রামের একটি মাজারের নলকূপ থেকে টানা ১৭বছর হাতল চাপা ছাড়াই পানি পড়ছে। মাজারের ভক্তসহ অনেকে রোগ নিরাময়ের নিয়তে সেই নলকূপের পানি খেতে আসছেন। ভক্তদের দাবি অলৌকিক কারণে এই পানি টানা পড়ছে। এদিকে প্রকৌশলীদের দাবি পানির লেয়ার ওপওে থাকায় পানি স্বাভাবিক ভাবে উঠছে। এরকম ঘটনা বিভিন্ন নলকূপের ক্ষেত্রে দেখা গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম ভবেরমুড়া গ্রাম। খালের একপাড়ে ভবেরমুড়া পাক দরবার শরীফ। অন্যপাড়ে ভারতের নজুরমুড়া গ্রাম। এখানে কাঁটা তার একটু পেছনে। হাতল চাপা ছাড়াই মাজার আঙিনার নলকূপ থেকে ছলছল শব্দ তুলে পানি পড়ছে। বিভিন্ন এলাকার থেকে নারী পুরুষ এসে পানি পান করছেন।
পাশের শংকুচাইল গ্রামের নাজমা আক্তার বলেন,তিনি বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। শুনেছেন এই পানি খেলে নাকি রোগ ভালো হয়ে যায়। পানি পান করে মানুষ তৃপ্তি পায়। তাই একটু দেখতে এলাম।
ভবেরমুড়া গ্রামের পূর্বপাড়া আল আকসা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা রমিজ উদ্দিন বলেন,এই গ্রামের বিভিন্ন মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে ইমামতি করেছেন। এই মাজারের নলকূপ থেকে ১৭বছর ধরে টানা পানি পড়ছে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ বিভিন্ন নিয়ত পূরণে পানি পান করছেন।
স্থানীয় দক্ষিণ গ্রামের আবুল হাসেম বলেন, এখানে মানুষ মাজার জিয়ারত করতে ও নলকূপের পানি পান করতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসছেন। বিভিন্ন নিয়তে তারা এই পানি পান করেন।
মাজারের খাদেম কাজী রফিকুল হক বলেন,এই মাজারের বয়স শত বছর প্রায়। মাজারের প্রতিষ্ঠাতা তার দাদা কাজী ছাফর উদ্দিন শাহ। এখানে দুইটি নলকূপ ছিলো,সেগুলোতে অনেক চাপ দিলেও তেমন পানি মিলতো না। তিনি ১৭বছর আগে এটি বসিয়েছেন। বসানোর পর থেকে পানি পড়ছে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের ভক্তরাও এই পানি পান করতে আসে।
বুড়িচং উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তানভীর হাছান বলেন,পানির লেয়ার উপওে থাকার কারণে পানি এভাবে উঠছে। আগে হয়তো লেয়ার নিচে থাকায় তেমন পানি পাওয়া যেতো না। পানির লেয়ার ওপরে থাকলে পানি এমনিতে পড়ার আরো ঘটনা রয়েছে।
