ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌনে ছয় কেজি ওজনের শিশুর জন্ম !

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ওজন পৌণে ছয় কেজি! লম্বায়ও ৫৫ সেন্টিমিটার! স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ আকারের এই শিশুর জন্ম দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক শিক্ষকের স্ত্রী তাসলিমা বেগম। এটি তার চতুর্থ সন্তান, নাম রাখা হয়েছে মুয়াজ। সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম নেয়া শিশু ও প্রসূতি উভয়েই বর্তমানে সুস্থ্য রয়েছেন। তবে, সদ্যজাত এই শিশুকে নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা, স্বাস্থ্যকর্মীরা উল্লোসিত।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের হলি ল্যাব হাসপাতালে (প্রা.) এই শিশুর জন্ম হয়েছে বলে গাইনী কনসালটেন্ট ডা. ফৌজিয়া আখতার নিশ্চিত করেছেন। সদ্যজাত মুয়াজ জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল গ্রামের মাস্টার বাড়ির বাসিন্দা ও অরুয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবুল বাশারের চতুর্থ সন্তান।
চিকিৎসক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই প্রথম এক মা প্রায় পৌনে ৬ কেজি ওজনের এক ছেলে শিশুর জন্ম দিলেন। ওই নারীর নাম তাসলিমা বেগম। পাঁচ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজন এবং ৫৫ সেন্টিমিটার লম্বা আকারের সদ্যজাত নিজের সন্তানকে দেখে অবাকই হয়েছেন তিন সন্তানের জননী তাসলিমা বেগম। স্বাভাবিক শিশুর চেয়ে মুয়াজের আকার প্রায় দ্বিগুণ। গর্ভাবস্থায় ৪০ সপ্তাহে তাসলিমার সন্তানের ওজন ছিলো পাঁচ কেজি ৭০০ গ্রাম। ৪০ সপ্তাহ ৩ দিন পরে জন্ম হয় মুয়াজের। জেলা শহরের কুমারশীল মোড়স্থ হলি ল্যাব হাসপাতালে সিজারিয়ান বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্মানো নবজাতক ও প্রসূতি উভয়েই সুস্থ্য আছেন। নিজের শিশুর এমন ওজন নিয়ে জন্ম হওয়ায় কিছুটা অবাক হয়ে বাবা আবু বাশার বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম আমার একটি ছোট মোটা শিশু হবে। আমার আগের শিশুগুলো নরমাল ডেলিভারি হয় এবং ওই শিশু গুলোর স্বাস্থ্যও ভাল ছিলো। নিরাপদে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় খুবই খুশি। আমার পরিবার ‘ধন্য’ হয়েছে। চিকিৎসকের সহযোগিতায় সিজারের পর মা ও শিশু ভাল আছেন। তিন সন্তানের জননী তাসলিমা বেগম বলেন, ‘আমি আজকের দিনটির জন্য দীর্ঘ সময় ধরেই অপেক্ষা করেছি। আমি ও আমার ছেলে শিশুটি সুস্থ আছেন।’
গাইনী কনসালটেন্ট ডা. ফৌজিয়া আখতার বলেন, ‘সিজারের মাধ্যমে ছেলে শিশুটি জন্ম হয়েছে। মা ও শিশু দুইজনই সুস্থ আছেন। মুয়াজের ওজন এবং আকার বাংলাদেশের শিশুদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এর আগে কয়েক বছরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক মা ৫ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের এক শিশুর জন্ম দেন।’