কুমিল্লায় আগুনে পুড়লো ৯ দোকান- বসতঘর
মাহফুজ নান্টু।।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সেনানিবাস সংলগ্ন নিশ্চিতপুর এলাকায় হাজি ম্যানশনের মোটরবাইক পার্টসের দোকান ও বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাত দেড় টায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৯ টি দোকান ও ৯ টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬ টি ইউনিট ২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া ছয়টি দোকানের মধ্যে আবদুল কাদেরের ভাই ভাই মোটর্স নামে ছয়টি দোকান, শফিকুর রহমানের সুফিয়ান মটর্সের ১ টি ও রাজিবের রাজিব হোন্ডা এ্যান্ড সার্ভিসিং সেন্টারের ২ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনে অন্তত ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ সময় মার্কেটের আগুন পাশের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডে ৯ টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া বসতঘরে নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস ছিলো। যাদের বেশীর ভাগ ফেরিওয়ালা ও দিন মজুরের কাজ করতেন। ছোট ছোট এই ঘরগুলোতে তারা ভাড়ায় থাকতেন। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাদের জীবিকার সম্বল।
সোহেল নামে একজন জানান, তিনি কুমিল্লা নগরীতে তরকারী ফেরী করেন। রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ আগুন লাগে।কোন রকম ঘর থেকে বের হয়েছেন। চোখের সামনে ঘরটি পুড়তে দেখেছেন। ২ ঘন্টা ধরে পুড়তেই ছিলো তার ঘর ও পাশের ৮ টি ঘর।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, রাত দেড়টায় খবর পেয়ে কুমিল্লা, চান্দিনা ও ইপিজেড স্টেশনের ৬ ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় দুই ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।
ক্ষতিগ্রস্ত ভাই ভাই মোটর্সের স্বত্বাধিকারী আবদুল কাদের বলেন, রাইতের তিনটায় খবর পাইছি দোহানো আগুন লাগছে। আগুনে পুইড়া সব শেষ। এর আগের মাসের ১৪ তারিখ পাশের মার্কেটে আগুন লাইগ্গা আমার আরেকটা দোহান পুড়ছে বলেই চিৎকার করে মূর্ছা যান আবদুল কাদের।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক জানান, আমি রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিভাবে আগুন লাগছে তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারছি না। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ রাতে পাশের হাজি ম্যানশন মার্কেটে আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৬৫টি মোটরসাইকেল ও মোটরের পার্টস দোকান। তার রেশ কাটতে না কাটতেই পাশের মার্কেটে আবারো অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হতবাক ব্যবসায়ীরা।