কুবিতে নির্মাণাধীন প্রধান ফটকের রড চুরি
আমোদ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নির্মাণাধীন প্রধান ফটকের জন্য ক্রয়কৃত রডের অন্তত এক টন রড চুরি হয়েছে। গত ৭ থেকে ৯ মে এর মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের সাথে চুক্তি করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। এ প্রকল্পের আওতায় গত ১৬ মার্চ প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ শুরু করে
মর্ডান কনস্ট্রাকশন এন্ড আর্কিটেকচার কোঃ লিমিটেড। ফটক নির্মাণ কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে গত ৬ মে (শুক্রবার) রাতে মোট ২১ বান্ডেল রড আনা হয়। রডগুলো ফটক সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীরের ভিতর শেকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। কিন্তু ৯ মে দেখা যায়, সেখানে মাত্র ১৪ বান্ডেল রড আছে, বাকী ৭ বান্ডেল নেই। চুরি হওয়া রডের পরিমাণ এক টনেরও বেশি।
চুরি হওয়া রড উদ্ধারে গত ১১ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীনকে আহবায়ক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদারকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহকারী প্রক্টর মো. মোকাদ্দেস-উল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম এবং কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. আবু তাহের।
মর্ডান কনস্ট্রাকশন এন্ড আর্কিটেকচার কোঃ লিমিটেডের পক্ষ থেকে প্রকল্পটির তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৬ তারিখ রাতে আমি ২১ বান্ডেল রড তালা দিয়ে ঈদ উপলক্ষে বাড়ি এসেছিলাম। যেহেতু নিরাপত্তারক্ষী আছে, সেহেতু আমি আর নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তা করিনি। আমি পরিচিত একজনের মাধ্যমে ৯ তারিখ খোঁজ নিয়ে শুনি যে বান্ডেলগুলোর শেকল কাটা এবং ৭ বান্ডেল রডই নেই। প্রায় এখানে ১ টন রড চুরি হয়েছে। আমি ৯ তারিখ কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মো. সাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, রড চুরির অভিযোগটা এসেছে। আমরা পরিদর্শনে গিয়েছি। এখন কী পরিমাণ মালামাল ছিলো সেটা তো আমাদেরকে বলেন নি। একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল আসলে উদ্দীন বলেন, আমাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রহরী থাকে। তাছাড়া রাতের বেলা টহল টিমও দায়িত্বে থাকে। এর ভিতরেও রড চুরি হয়েছে। এটা খুব চিন্তার বিষয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এটা নিয়ে সিরিয়াস। সেনাবাহিনী যেহেতু প্রকল্পটির তদারকি করছে তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।