ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন কন্যা সন্তানের মা হলেন গৃহবধূ সুমাইয়া
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ফুটফুট তিন নবজাতক। তিনজনই কন্যা সন্তান। একই সাথে তিন কন্যা সন্তান প্রসব করলেন গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার। সোমবার (৩১ মে) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ওই তিন নবজাতকের জন্ম হয়। বর্তমানে সুস্থ্য আছেন প্রসূতি এবং তার তিন নবজাতক।
প্রসূতি সুমাইয়া আক্তার জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকন্দপুর গ্রামের আল-আমিন মিয়ার স্ত্রী। এর আগে সুমাইয়ার দুই-দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। জেলা শহরের ট্যাঙ্কেরপাড়স্থ স্ট্যাণ্ডার্ড হাসপাতালের (প্রা.) গাইনি চিকিৎসক কাজী লুৎফুন্নাহার লুৎফা সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিন নবজাতককে প্রসব করান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে ওই প্রসূতির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে আগেই জানা ছিলো তার গর্ভে তিনটি শিশু রয়েছে। হাসপাতালে আনার পর প্রসূতির গর্ভের শিশুদের নড়াচড়া অপেক্ষাকৃত কম এবং প্রসূতির প্রেসার ছিলো বেশি। তাই দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি কন্যা শিশু ভূমিষ্ট করানো হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তিন নবজাতকের মধ্যে একটি শিশু দুই কেজি ২০০গ্রাম, দ্বিতীয়টি দুই কেজি এবং তৃতীয়টি এক কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনে জন্ম নিয়েছে। তুলনামূলকভাবে তিনটি শিশুর শারীরিক অবস্থা ভাল আছে। তবে এক কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের শিশুটির শারীরিক অবস্থা একটু দুর্বল। প্রসূতিও বেশ ভালো আছেন। তিন নবজাতকের পিতা আল-আমিন মিয়া জানান, ‘আমাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ১১বছর আগে। আমাদের আরও দুইটি কন্যা সন্তান আছে। নতুন সন্তানদের আগমনে আমি খুশি।’
সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্নকারী গাইনি চিকিৎসক কাজী লুৎফুন্নাহার লুৎফা জানান, ‘তিন নবজাতকের মধ্যে একটি শিশুর শারিরিক অবস্থা একটু দুর্বল। বাকি দূ’জন এবং প্রসূতির অবস্থা সন্তোষজনক।’