কলেজ খুললেই বল গড়াবে ভিক্টোরিয়ার মাঠে!
আবদুল্লাহ আল মারুফ।।
প্রাণের ক্যাম্পাস হয়তো শীঘ্রই খুলবে। ক্যাম্পাসের একমাত্র খেলার মাঠটি এখন বল, ব্যাট আর খেলোয়াড়ের অপেক্ষায়। দীর্ঘদিনের কচুখেত এক কর্কশ অতীত মাত্র। বলছিলাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠের কথা। কলেজের ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর একমাত্র আউটডোর বিনোদনের মাধ্যম। কিছুদিন আগেই যা ছিল কচুর খেত, এখন তা এখন ব্যাডমিন্টন , ফুটবল, ক্রিকেট বল আর বলিবলের গড়াগড়ি খাওয়ার অপেক্ষায়।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৮৯৯ সালে রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত ও নবাব ফয়জুন্নেছার ১০ হাজার টাকার অনুদানে নির্মিত হয় কলেজটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজের সার্বিক অবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও ধর্মপুরের ডিগ্রি শাখার একমাত্র বিনোদনের কেন্দ্র বিশাল খেলার মাঠটি প্রায় দুই যুগ ধরে হাঁটু সমান পানির নিচে তলিয়ে ছিল। যার কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছিল ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল হাজার হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু এখন খেলার মাঠ পুন:সংস্কার করায় আনন্দিত শিক্ষার্থী ও কলেজের শিক্ষকরা।
বাংলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম সজিব বলেন, আমরা প্রথম বর্ষ থেকেই দেখে আসছি আমাদের খেলার মাঠটি কচুর খেতের মতোই পড়ে আছে। কলেজের বাইরের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসলে লজ্জা লাগতো। এখন ভীষণ আনন্দিত আমরা।
মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আকাশ বলেন, আমাদের বহুকালের আশা পূরণ হয়েছে। আশাবাদী এই কলেজ থেকে ভালোমানের খেলোয়াড় তৈরি হবে। তারা বিভিন্ন সংগঠনের মতো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজকে সম্মানের উচ্চ আসনে বসাবে।
কলেজের নবাব ফয়জুন্নেছা হলের শিক্ষার্থী ফৌজিয়া তারিন চৌধুরী বলেন, কলেজের প্রাণ হচ্ছে কলেজের খেলার মাঠ। এতদিনের প্রাণহীন কলেজটাকে এখন প্রাণবন্ত লাগে। মাঠের বিষয়ে কলেজ প্রশাসনকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সদ্যবিদায়ী অধ্যক্ষ রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, যখন এই কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে আসলাম তখন এই খেলার মাঠের অবস্থা দেখে খুবই আহত হয়েছি। তারপর আমি কলেজের শিক্ষক পরিষদ ও কলেজের সংগঠনগুলোর মাধ্যমে আলোচনা করে এই মাঠের কাজ শুরু করি। এই কাজে আমাকে সাহায্য করেছেন সদর আসনের এমপি বাহাউদ্দিন বাহার।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, রুহুল আমিন স্যার থাকাবস্থায় কলেজ মাঠের প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। কলেজের একটি প্রজেক্টে ৪০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটির কাজ শুরু হবে। কাজ শুরু হলে বর্তমান অডিটরিয়ামটি ভেঙে মাঠের দক্ষিণ পাশে নতুন অডিটরিয়াম করা হবে। তখন বর্তমান অডিটরিয়ামের জায়গাসহ মাঠটি আরও বড় হয়ে যাবে।