কুমিল্লায় অ্যাম্বুলেন্স-মোটরসাইকেলে চলছে যাত্রী পরিবহন

 

inside post

অফিস রিপোর্টার।।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে চলছে অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল। যাত্রী পরিবহন করছে এসব যানবাহন।
মহাসড়কের পদুয়ার বাজার,সেনানিবাস ও চান্দিনা অংশের বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডগুলি এখন অ্যাম্বুল্যান্স, মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার দখলে। বৃহস্পতিবার থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণার পরও মহাসড়কের এই অংশে থেমে নেই যাত্রী পরিবহন।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মারুতি, সিএনজি অটোরিকশা, পিকআপ এমনকি মোটরসাইকেল দিয়ে যাতায়াত করছে যাত্রীরা। মাইক্রোবাস, অটোরিকশাসহ অন্যান্য পরিবহনে একই সিটে ৪-৫ জন করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এখন বাস ছাড়া সকল যানবাহনই চলাচল করছে। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার দিয়ে ২-৩ গুণ অতিরিক্ত ভাড়ায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিতে দেখা গেছে। জেলার ভিতরের যাত্রীদের বহনে সিএনজি অটোরিকশা, ফিটনেসবিহীন মারুতি-মাইক্রোবাস, পিকআপ চলাচল করছে। মহাসড়কের চান্দিনা স্টেশন এলাকায় ঢাকায় যাত্রী বহন করতে সারি সারি প্রাইভেট পরিবহন দাঁড়িয়ে রয়েছে।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মানুষকে ঘরে রাখতে সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ করেছে সরকার। কিন্তু বাসের বিকল্প সকল পরিবহন চলতে থাকলে সেই ‘লকডাউন’ কোনো কাজেই আসবে না।’

 

হাইওয়ে পুলিশের ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মিঠুন বিশ^াস জানান, ‘মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষেধ। আমরা অভিযান চালিয়ে কয়েকটি থ্রি-হুইলার আটক করেছি। অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি আমার জানা নেই। চেক পোস্ট করে অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরো পড়ুন