‘অতিরিক্ত সার প্রয়োগে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় ’
প্রতিনিধি।।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) মহাপরিচালক, মোঃ ছাব্বির হোসেন বলেন, উদ্ভিদ বেঁচে থাকার জন্য ১৬ টির অধিক পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে তিনটি পুষ্টি উপাদান (কার্বন,হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন) উদ্ভিদ বায়ু ও পানি থেকে গ্রহণ করে। অবশিষ্ট ১৩টি পুষ্টি উপাদান উদ্ভিদ মাটি থেকে গ্রহণ করে। ১৩ টি পুষ্টি উপাদনের মধ্যে বরুড়ার মাটিতে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, গন্ধক, দস্তা ও বোরনের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। এজন্য মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় ফসলের জন্য জমিতে কোন কোন সার কি পরিমাণে প্রয়োগ করতে হবে। মাটির স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে জমিতে সার প্রয়োগ করলে একদিকে যেমন ফলন বেশি পাওয়া যায় অন্যদিকে উৎপাদন খরচ কমে যায়। তাছাড়া জমিতে অতিরিক্ত সার প্রয়োগের ফলে মাটিতে রাসায়নিক বিষক্রিয়া হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। মাটির উৎপাদনক্ষমতা কমে যায়। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয়, কুমিল্লার আয়োজনে
১৫এপ্রিল কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার নরিন্দ গিরিবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সারব্যবহারে অপচয় রোধে করণীয় বিষয়ে কৃষকের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ কথা বলেন। মতবিনিময় শেষে
মাটিপরীক্ষার জন্য কিভাবে মাটির নমুনা সংগ্রহ করতে হয় তা তিনি কৃষকদের হাতে কলমে দেখিয়ে দেন।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, এসআরডিআই‘র ফিল্ড সার্ভিসেস উইংয়ের পরিচালক মনফিক আহমদ চৌধুরী, বিভাগীয় কার্যালয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দীন, সিসিবিএস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বেগম সামিয়া সুলতানা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মোঃ আব্দুল হালিম,আঞ্চলিক গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস. এম. জোবায়ের আল আরমান; বরুড়া উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ নজরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব¡ করেন, এসআরডিআই আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, এসআরডিআই কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস।