অধ্যক্ষ আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল
প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা নগরীর প্রিয়মুখ ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমীর আলী চৌধুরী আর নেই। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৭বছর। বুধবার দুপুরে শ্বাস কষ্ট দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেলে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তিনি এক মেয়ে সানজিদা চৌধুরী পিউ,দুই ছেলে চৌধুরী আশরাফ আলী পাভেল এবং চৌধুরী ওয়াসিফ আলী প্রবালসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। তার মৃত্যুতে ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও নগররবাসীূর মাঝ শোকের ছায়া নেমে আসে। ১৯৯৫ সনে তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে চাকুরি জীবনের ইতি টানেন।
ইতিহাস গবেষক গবেষক আহসানুল কবীর জানান, অধ্যক্ষ আমীর আলী চৌধুরী কুমিল্লা নগরীর সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার মৌলভি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। সমাজ সেবক সুলতানুল আলম চৌধুরী এবং সায়েকা খানম চৌধুরীর ছেলে আমীর আলী চৌধুরী ১৯৩৭ সনের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। কুমিল্লা ইউসুফ স্কুলে সপ্তম শেণীতে অধ্যায়নকালে ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এখান থেকেই ১৯৫৩ সনে এসএসসি পাশ করেন। ভিক্টোরিয়া কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন। আমীর আলী চৌধুরী ১৯৬৪ সালে কুমিল্লা সুয়াগাজী সাহেব বাড়ির জমিদার ওমর আহম্মদ চৌধুরীর মেঝ কন্যা শামসুন্নেসা চৌধুরীবে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী দুইবছর আগে মারা যান। পোশাক পরিচ্ছদে, চলনে বলনে একজন পরিপাটি মানুষ ছিলেন তিনি। নগরীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার বক্তা হিসেবে ডাক পড়তো।
আমীর আলী চৌধুরীর দাদা জানে আলম চৌধুরী ওরফে জানু মিয়া একজন সঙ্গীত সাধক ছিলেন। ওস্তাদ জানে আলমের নিকট তালিম নিতে তাদের বাড়িতে আসতেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শচীন দেব বর্মন, সুরসাগর হিমাংশু দত্ত, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু প্রমুখ।