অবশেষে নবীনগর’র গণগ্রন্থাগারটি দেখলো আলোর মুখ
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বর্তমান প্রজন্ম একরকম বইবিমুখ হয়ে প্রযুক্তির মন্দ দিকটায় ঝুঁকে যাচ্ছে। যুব সমাজের একটি বড় অংশ অনলাইনে বিভিন্ন গেমস খেলার পাশাপাশি জড়িয়ে পড়ছে মাদকসহ নানা অপরাধে। তাদের পাঠাগারমুখী করার প্রয়াসে বন্ধ থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার একমাত্র গণগ্রান্থাগারটি পুণরায় চালু করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধের পর ফের চালু হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিও যেনো অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখলো। এতে বইবিমুখ তরুণ সমাজকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলা যাবে বলেও প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. একরামুল সিদ্দিক উপজেলা পরিষদের সংলগ্ন এলাকায় এই গণগ্রন্থাগারটির উদ্বোধন করেন। করোনার প্রভাবের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জনবল ও আসবাবপত্রের সঙ্কটের কারণে শিক্ষা, সংস্কৃতির পাদপীঠ নবীনগরের গণগ্রন্থাগারটি দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরেই বন্ধ ছিলো। এই নিয়ে সম্প্রতি জাতীয়-স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদপত্রে ‘তালাবদ্ধ পাঠাগার’ এজাতীয় শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। অবশেষে গণগ্রন্থাগারটি দেখলো আলোর মুখ।
নবীনগর গণগ্রন্থাগার পুনরায় উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নবীনগর থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার, নবীনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মঞ্জুরুল আলম, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নবীনগর শাখার সভাপতি আবুল কালাম খন্দকার, নবীনগর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম লিটন, মাদকমুক্ত নবীনগরের সভাপতি আবু কাওসার, সংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা বলেন, যুব সমাজের একটি বড় অংশ যখন মোবাইল অনলাইনে বিভিন্ন গেমস খেলা, মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তাদেরকে পাঠাগারমুখী করতেই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা গণগ্রান্থাগারটি পুণরায় চালু করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে গ্রন্থাগারটি চালু হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিও অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখল। এতে করে বই তথা পাঠবিমুখ তরুণ সমাজকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলা যাবে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা (ইউএনও) মো. একরামুল সিদ্দিক জানান, ‘উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে পাঠাগারের জন্য একজন লাইব্রেরীয়ান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাঠাগারের যাবতীয় উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। প্রতিদিন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পাঠাগারটি খোলা থাকবে।’