আখাউড়ায় প্রতিপক্ষের হাতে সাবেক সেনা সদস্য নিহতের অভিযোগ
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পুকুরপাড়ে মাটি ফেলা নিয়ে প্রতিবেশীর সাথে বাদানুবাদ হয় সাবেক সেনা সদস্য শাহজাহান মিয়ার। এরই জেরে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে প্রতিপক্ষের হাতে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ শাহজাহান মিয়া নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ মিলেছে। পু্লিশ নিহতের লাশ পাঠিয়েছেন মর্গে। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা এলাকার।
রোববার (১৩ জুন) সকালে উপজেলার মনিয়ন্ধ ইউনিয়নের মনিয়ন্ধ পূর্বপাড়ার পুকুরপাড়ে ঘটে এই ঘটনা। নিহত শাহজাহান মিয়া (৬১) ওই গ্রামের ইউপি অফিসের পূর্বপাড়া মৃত সামসু মিয়ার পুত্র এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৩ বেঙ্গলের কর্পোরাল ছিলেন।
নিহতের পরিবার, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মনিয়ন্ধ গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শাহজাহান মিয়ার বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে মাটি ফেলা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী মৃত সিরাজুল হকের পুত্র সোহেল ও কাইয়ুমের সাথে বাদানুবাদ হয়।এই বাদানুবাদের জেরে রোববার সকাল আটটার দিকে মাটি ফেলতে বাঁধা দিলে শাহজাহানের সাথে সোহেল ও কাইয়ুমের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে শাহজাহান মিয়া অচেতন হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত আখাউড়া উপজেলা হাসপাতালে নেবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহজাহান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত কনেছেন। এদিকে নিহতের নাতি সাইফুল ইসলাম বলেন, পুকুরপাড় মাটি ফেলা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় তার দাদা শাহজাহানের সাথে সোহেল ও কাইয়ুমের তর্কাতর্কি হয়। পরে রোববার সকালে তার দাদা পুকুরপাড়ে মাটি ফেলতে বাঁধা দিলে সোহেল ও কাইয়ুম মিলে তার দাদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। সে তার দাদার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী করেন৷
আখাউড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’