‘আমনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সার,বীজ ও সেচে সহযোগিতা করা হবে’

 ‘কুমিল্লা অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা
প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় মোট জনসংখ্যা সোয়া ৬২লাখ। এই জনসংখ্যার বর্তমান খাদ্য চাহিদা ১০লাখ ৫০হাজার ৩৬৩ মেট্রিক টন। জেলায় খাদ্য উৎপাদন হয় ১৩লাখ ৬৭হাজার ৮০৩ মেট্রিক টন। খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩লাখ ১৭হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার ব্যবস্থাপনায় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), কুমিল্লা অঞ্চলের সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়। মঙ্গলবার কুমিল্লা বার্ডে ‘কুমিল্লা অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

inside post

কর্মলায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএডিসি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাজ্জাদ। সভাপতিত্ব করেন, ব্রি-এর মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ডিএই’র সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী,বিএডিসির সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) কৃষিবিদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ব্রি-এর পরিচালক(গবেষণা) ড. মোঃ খালেকুজ্জামান, ব্রি-এর পরিচালক (প্রশাসন) ড. মো: আব্দুল লতিফ, ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, কুমিল্লার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, খাদ্যের যোগান বাড়াতে অন্যান্য ফসলের সাথে আমনের উৎপাদনে গুরুত্ব দিতে হবে। সার,বীজ ও সেচের বিষয়ে  সরকার সহযোগিতা করবে। ফলন বৃদ্ধিতে নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন আমন ধানের জাত উদ্ভাবন করতে হবে। এছাড়া বন্যা, খরা, রোগ ও পোকা-মাকড় সহনশীল জাত উদ্ভাবন ও জলাবদ্ধতা, জলমগ্নতা সহনশীল নতুন জাত উদ্ভাবন করাও প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।

এছাড়া ডিএই কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপ-পরিচালকরা নিজ জেলার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় ডিএই, বিএডিসি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিভিন্ন সেচ প্রকল্প, পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, এনজিও,বীজ,সার,কীটনাশক ডিলার, কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, ব্রি, কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ কে এম সালাহ্উদ্দিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিজয়া সাহা ও তাসনিয়া ফেরদৌস।

আরো পড়ুন