কবুল পড়ার সময়ে জানাযা হলো বরের

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম,  চাঁদপুর  #

চাঁদপুরে কবুল পড়ার সময়ে জানাযা হলো হাজীগঞ্জের রনির। যখন বসবে বিয়ের পিড়িতে, কাজী কবুল পড়াবে,  ঠিক সেই সময়ে জানাযা পড়া হলো রনি মিজি (১৯) নামের এক যুবকের। কলেজ জীবনের সহপাঠীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারণে পারিবারিকভাবে এ বিয়ের আয়োজন চলছিলো। ঠিক যখন ছেলে মেয়ের বাড়িতে একই সময় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছে তখন ঘটে বিপত্তি। নিজ বাড়িতে নিজ গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে স্ট্রোক করেন রনি। তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান রনি। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর তার বিয়ে হওয়ার কথা। ঠিক যে সময় কবুল পড়বে ঠিক সে সময়ে জানাযা হলো রনির। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাতে  ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের কাপাইকাপ গ্রামের মিজি বাড়িতে। রনি এ বাড়ির প্রবাসী বিল্লাল মিজির ছেলে। হবু বধূ প্রেমিক সহপাঠী পাশের শাহরাস্তি উপজেলার দেবকরা গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় কাপাইকাপ গ্রামের একাধিক লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,  গত বছর রনি হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে।  কলেজের এক সহপাঠীর সাথে কলেজে পড়াকালীন  সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্ক এবং পরবর্তীতে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয় শুক্রবার । নিকট আত্মীয়-স্বজনকে বিয়ের আমন্ত্রণ’সহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। পুরো বাড়িতে উৎসবের আমেজ।গায়ে অনুষ্ঠানে হলুদে বসে রনি। কিছু সময়ের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন রনি। সবাই তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে রওনা দেয়। পথিমধ্যেই মারা যান রনি। এ খবরে কনের বাড়ি আর রনির রাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। শুক্রবার বাদ জুম্মা জনাজা শেষে রনিকে নিজ বাড়ির পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযাতে কনের আত্মীয় স্বজনরা যোগ দেন।

রনির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,রনির মৃত্যুর খবরে বিয়ের পরিবর্তে উভয় বাড়িসহ এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। এতে করে প্রবাসে রনির বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আর কনে ও কনের বাবাকে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কনে হাতপাতালে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের প্রধানীয়া জানান, রনি মিজির দাফন-কাপনে আমি উপস্থিত ছিলাম। রনির মতো তরতাজা যুবকের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

inside post
আরো পড়ুন