কুমিল্লায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি
বেড়েছে চুরি-ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের ঘটনা
প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বেড়েছে চুরি-ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের ঘটনা। এছাড়াও বেড়েছে মাদক চোরাচালান ও অপব্যবহারের ঘটনাসহ কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা। জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়। রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছারের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা মতিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় জানানো হয়,গত নভেম্বর মাসে কুমিল্লা জেলায় ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে ৬টি, গতমাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৯টি। নভেম্বর মাসের তুলনায় গতমাসে এ ধরনের ঘটনা বেড়েছে ৩টি।
নভেম্বর মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১৮টি, গতমাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ২৫টি। নভেম্বরের তুলনায় গতমাসে এ ধরনের ঘটনা বেড়েছে ৭টি। এছাড়া গতমাসে মাদক চোরাচালান, এর অপব্যবহার ও কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা বেড়েছে বলে জানানো হয়। নভেম্বর মাসে গুরুতর অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল ৩৯২টি, গতমাসে ঘটেছে ৩৯৯ টি।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান বলেন, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া কুমিল্লায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ হবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার বলেছেন, কুমিল্লা শহরে প্রধান যে কয়েকটি সমস্যা রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যানজট। এ সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যানজট নিরসনে শহরে প্রবেশ মুখে ৭টি পয়েন্টে যানবাহন চেকপোস্ট বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। শহরে এখন প্রতিদিন ৩০ হাজার অটোরিকশা, সিএনজি চালিত রিকশা ও ভ্যানগাড়ি প্রবেশ করছে। এ অবস্থায় এ জাতীয় অটোরিকশা বাইরে থেকে শহরে যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ডিবির পোশাক পরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে- এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। কুমিল্লা সদর হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার বলেন, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলা পুলিশ
সমন্বয়ে এ সমস্যার সমাধান করা যায়। সভায় বিবাহ সংক্রান্ত হলফনামা বন্ধের জন্য জেলা আইনজীবী সমিতিকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সড়ক দুর্ঘটনা কমানো, ভেজাল ঔষধ বিক্রি বন্ধ ও পরিবেশ দূষণ রোধেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পিপি অ্যাড. কাইমুল হক রিংকু, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ পরিচালক জেসমিন বেগম, সাংবাদিক মোতাহার হোসেন মাহবুবসহ বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা।