কৃষি অফিসারের বিদায় সংবর্ধনায় আবেগতাড়িত কৃষক-কৃষাণীরা
প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ের উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ বানিন রায়কে বিদায় সংবর্ধনা দিলেন ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর, শোভারামপুর, এদবারপুর ও দয়ারামপুর গ্রামের শতাধিক কৃষক-কৃষাণীরা। মঙ্গলবার উপজেলার রামপুর গ্রামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মোহাইমেনুল ইসলাম, রামপুর ব্লকের উপসহকারি কৃষি অফিসার মোসা. সুলতানা ইয়াসমিন, নিমসার ব্লকের উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. ফারুক আহম্মদ ভূইয়া ও আবিদপুর ব্লকের উপসহকারি কৃষি অফিসার মোহাম্মদ ওমর ফারুক প্রমুখ। এসময় কৃষক-কৃষাণীরা স্মৃতিচারণ করে আবেগতাড়িত হন।
অনুষ্ঠানে কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন, রোপা আমন মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে রাইসট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে রোপণের মাধ্যমে যান্ত্রিকীকরণের নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হয়েছেন। পরে ১৫০ বিঘা জমিতে একই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। এ সুযোগের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি আউশ মৌসুমে ব্রি ধান৯৮, রোপা আমন মৌসুমে ব্রি ধান৯৫ ও বোরো মৌসুমে ব্রি ধান৯২ ও ব্রি ধান৯৬ এর বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান।
এদবারপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, গোমতীর চরে প্রথমবারের মতো আউশ আবাদের উদ্যোগ গ্রহণ, সরিষা চাষ করানোর মাধ্যমে ২ ফসলী জমিকে ৪ ফসলী জমিতে পরিণত করা হয়। তাছাড়া, সরিষার নতুন জাত বিনাসরিষা-৪, বিনাসরিষা-৯ ও বারি সরিষা-১৮ এর বীজ বিস্তার করা হয়।
দয়ারামপুর গ্রামের কৃষক আখলাক হোসেন বলেন, পারিবারিক পুষ্টি বাগান বাস্তবায়ন ও প্রশিক্ষণ পেয়ে বিদেশ থেকে দেশে এসে পতিত জমি আবাদ করেছি।
রামপুর গ্রামের কৃষাণী নাসিমা আক্তার বলেন, নতুন নতুন ধানের জাত পেয়েছি। এজন্য তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ভবিষ্যতে এ ধরণের কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে সেই প্রত্যাশা করেন।