কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যায় লিটনের ফাঁসি, তুফানের যাবজ্জীবন
প্রতিনিধি।।
২০১২ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম আমানগন্ডায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫) হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদ- আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। বৃহস্পতিবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছাঃ ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। আসামিরা কোদাল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে খুন করে। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত পলাতক আসামি হলেন সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার শ্যামনগর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মোঃ লিটন (২৬) এবং যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত আসামি হলেন কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার খোলপাশা গ্রামের মৃত হেলাল মিয়ার ছেলে আবদুস সোবহান ওরফে তুফান (৫০)।
মামলার বিবরণে জানা যায়- পূর্ব শত্রুতার বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই বাদীর ভগ্নিপতি দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৫৫)চৌদ্দগ্রাম আমানগন্ডাস্থ বাদীর মৎস্য প্রকল্পে নির্মিত টিনসেড ঘরে কোদাল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। এসময় আসামিরা পালিয়ে যায়। ২০১২ সালের ১ আগস্ট নিহতের শ্যালক চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আগানগন্ডা গ্রামের মৃত জুলকু মিয়ার ছেলে মোঃ ফুল মিয়া বাদী হয়ে মোঃ লিটনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুলতান উদ্দিন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৯ আগস্ট আসামি মোঃ লিটন মিয়াকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে। আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোঃ লিটন মিয়াকে মৃত্যুদ- ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড। অপর আসামি আব্দুস সোবহান ওরফে তুফান মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন আদালত।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি আশাবাদী শীঘ্রই এ রায় কার্যকর হবে। এ মামলায় আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ জসিম উদ্দিন।